যদি অভিষেক ‘বচ্চন’ না হতেন, ট্রোলিংয়ের জবাবে কী বললেন অভিনেতা?

ইদানিং ট্রোলারদের স্ট্রেট ব্যাটে ছয় মারতে পারেন অভিষেক। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ টুইটারে ট্রোলিং।

যদি অভিষেক ‘বচ্চন’ না হতেন, ট্রোলিংয়ের জবাবে কী বললেন অভিনেতা?
অভিষেক বচ্চন।
Follow Us:
| Updated on: Nov 25, 2020 | 12:20 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: আক্ষরিক অর্থেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন তিনি। অর্থাৎ অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)। বাবা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। মা জয়া বচ্চন। পারিবারিক আভিজাত্যই তাঁকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। যেদিন থেকে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিষেক, সেই দিন থেকেই সমালোচনা তাঁর সঙ্গী। বাবার মতো হতে না পারা বা বাবাকে ছাপিয়ে যেতে না পারার জন্য প্রতি পদে সমালোচিত তিনি। আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সব সময়ই ট্রোলারদের (trolling) খোঁচা খেতে হয়। এমনকি স্ত্রী ঐশ্বর্যাকে নিয়েও ট্রোল সামলাতে হয়েছে তাঁকে। প্রথম দিকে ট্রোলিং সামলাতে সমস্যা হলেও, ধীরে ধীরে বিষয়টি রপ্ত করেছেন তিনি। ইদানিং ট্রোলারদের স্ট্রেট ব্যাটে ছয় মারতে পারেন অভিষেক। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ টুইটারে ট্রোলিং।

আরও পড়ুন, শাহরুখ অভিনেতা, পরিচালক আমির! কোন ছবিতে হল?

ঘটনাটি ঠিক কী? কুণাল নামের জনৈক ব্যক্তি এক কৃষকের ছবি টুইট করে লেখেন, ‘যদি অভিষেক ‘বচ্চন’ না হতেন।‘ এর উত্তরে একটুও রেগে না গিয়ে মজা করে অভিষেক উত্তর দেন, ‘হা হা হা। মজার। তবুও তোমার থেকে দেখতে ভাল!’

বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। অভিষেক অভিনীত ‘দোস্তানা’ ছবির একটি অংশ শেয়ার করে ওই ব্যক্তি লেখেন, ‘আমি জানি, তুমি আমাকে পছন্দ করো।‘ আসলে এই ধরনের ট্রোলিং অভিষেকের কাছে প্রথম নয়। যেভাবে তিনি সামলেছেন তা ভাল লেগেছে তাঁর অনুরাগীদের।

অমিতাভ-জয়ার ছেলে হওয়ার সুবাদে সব ছবি তিনি এমনিই পান এমনটাই মনে করেন দর্শকের একাংশ। কোনও কিছুর জন্যই তাঁকে পরিশ্রম করতে হয় না। বলিউডে নেপোটিজম খুব চর্চিত বিষয়। সেই চেনা ছকে অভিষেককেও ফেলতে চান সকলে। আবার অনেকে মনে করেন, অভিষেকের ছবির জন্য টাকা ঢালেন স্বয়ং অমিতাভ। কিন্তু এসব ধারণা যে একেবারে ভুল, তা বারংবার বলেছেন অভিষেক। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আসল সত্যি হল, বাবা আমার জন্য কোনও সিনেমা তৈরি করেননি। বরং আমি বাবার ‘পা’ ছবিটা প্রযোজনা করেছিলাম। আমি জানি, যখন আমার ছবি ভাল চলে না, যে সব ছবি থেকে আমি বাদ পড়ি, অথবা বাজেটের কারণে ছবি শেষ হয়নি, কারণ আমার কাছে তো সে সময় টাকা ছিল না। অথচ শুনতে হয়, আরে ও তো অমিতাভ বচ্চনের ছেলে। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে।”

আরও পড়ুন, “মাস্ক খুলে ছবি দেব না, আপনারা সকলে পরেননি”

আসলে মুদ্রার উল্টোপিঠটা দেখার অভ্যেস করাও জরুরি। বিখ্যাত পরিবারের সন্তান হলে প্রাথমিক কিছু সুবিধে হয়তো রয়েছে। কিন্তু অসুবিধের পরিমাণও যে কম নয়, তা বারবার উঠে আসে স্টার কিডদের কথায়।