AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দলিত তাস! শিল্পীদের মন পেতে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা কৈলাসের

বারুইপুরে কীর্তন (KIrtan), ভক্তিগীতি, বাউল শিল্পীদের সম্মেলনের মঞ্চে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) প্রতিশ্রুতি দিলেন। ঘোষণা করলেন, ক্ষমতায় আসার পর ষাটোর্ধ্ব সমস্ত শিল্পীকে ভাতা (Kirtan Singer's Pnsion)  দেবে বিজেপি (BJP)।

দলিত তাস! শিল্পীদের মন পেতে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা কৈলাসের
দলিত তাস! শিল্পীদের মন পেতে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা কৈলাসের
| Updated on: Nov 27, 2020 | 7:39 AM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: কীর্তন শিল্পীদের বিশেষ পেনশন দেবে বিজেপি সরকার ৷ বারুইপুরে কীর্তন (KIrtan), ভক্তিগীতি, বাউল শিল্পীদের সম্মেলনের মঞ্চে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) প্রতিশ্রুতি দিলেন। ঘোষণা করলেন, ক্ষমতায় আসার পর ষাটোর্ধ্ব সমস্ত শিল্পীকে ভাতা (Kirtan Singer’s Pnsion)  দেবে বিজেপি (BJP)।

সামনেই মহাযুদ্ধ! একুশের নির্বাচনে টেক্কা দিতে যেন শুরু হয়েছে ভাতা-রাজনীতি। অন্তত তেমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। কেন? একুশের নির্বাচনের আগেই পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা, মাসে হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন পুরোহিতরা। বাংলা আবাস যোজনায় বাড়িও দেওয়া হবে। কোলাঘাটে ইতিমধ্যে সনাতন পুরোহিতদের জন্য জমি দেওয়া হয়েছে। একুশে নির্বাচনের আগে পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করে মমতা কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এর আগে ইমামদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণ করছেন মমতা। এই ইস্যু নিয়ে গত নির্বাচনেও মমতাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে বিজেপি। এবার বিজপিও সেই ভাতা-রাজনীতির পথেই হাঁটতে শুরু করল।

একুশে ভোটব্যাঙ্ককে সুদৃঢ় করতে শিল্পীমহলের মন জয় করতে চাইছে বিজেপি। ক্ষমতায় এলে কীর্তন, বাউল, ভক্তিগীতি শিল্পীদের পেনশন (Kirtan Singer’s Pension) দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

বস্তুত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, বাঁকুড়ায় একটা বড় অংশে কীর্তন শিল্পীদের বাস। শিল্পী হলেও অর্থের টানে অনেকেই আজ পেশাচ্যুত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভেবে দেখার আছে, বাংলায় কারা কীর্তনশিল্পী! তাঁদের মতে, এটাও আসলে বিজেপির দলিত তাস! অর্থাত্ রাজ্যের ২৭ শতাংশ ভোট নিজের ঘরে টানতেই ‘চৈতন্য-পন্থায়’ মোদী-শাহ জুটি। তাঁদের বড় অংশের মন জয় করতে এদিন কৈলাসের আশ্বাসবাণী আর মুখে চৈতন্য নাম! বললেন, ”কৃষ্ণভক্তি ও রামভক্তির ভূমি বাংলা। চৈতন্য মহাপ্রভুর পরম্পরা এখানে প্রবাহমান। চৈতন্য মহাপ্রভু না থাকলে গোটা বাংলা বাংলাদেশ হয়ে যেত। ”

আরও পড়ুন:  ধর্মঘট রাজ্যের তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত স্পষ্ট করবে, সুর চড়ালেন বিমান বসু

ভাতা বনাম ভাতার রাজনীতিতে কার ঘরে যায় ভোট, এখন সেটাই দেখার।