ধর্মঘট রাজ্যের তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত স্পষ্ট করবে, সুর চড়ালেন বিমান বসু

বিমান বসুর কথায়, " ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটে দেশের অধিকাংশ শ্রমিক, কৃষক, কর্মচারী ইউনিয়ন সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু তাতে যোগ দেয়নি তৃণমূল ও বিজেপি শ্রমিক সংগঠন। ২৬ নভেম্বরেই রাজ্য সরকারের ভূমিকা আরও একবার প্রমাণ করবে তৃণমূল ও বিজেপির ভিতরে ভিতরে আঁতাত রয়েছে। (Biman Basu attacked BJP TMC Alliance)"

ধর্মঘট রাজ্যের তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত স্পষ্ট করবে, সুর চড়ালেন বিমান বসু
ধর্মঘট রাজ্যের তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত স্পষ্ট করবে, সুর চড়ালেন বিমান বসু
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 7:43 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: সর্বশক্তিতে ঝাঁপাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এই ধর্মঘট নিয়ে আঁতাত করছে তৃণমূল(TMC)-বিজেপি (BJP), এবার সুর চড়ালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu attacked BJP TMC Alliance)।

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী বিল প্রত্যাহার, কর্মহীন শ্রমিকদের কাজ সুনিশ্চিত করা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম সংগঠনগুলি। সোমবার কলকাতা, আসানসোল, বার্নপুর-সহ একাধিক জায়গায় মিছিলও বার করে বাম সংগঠনগুলি। কলকাতায় ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত র্যালি হয়। সেখান থেকে তৃণমূল-বিজেপি নিয়ে সুর চড়াতে দেখা যায় বিমান বসুকে (Biman Basu attacked BJP TMC Alliance)।

বিমান বসুর কথায়, ” ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটে দেশের অধিকাংশ শ্রমিক, কৃষক, কর্মচারী ইউনিয়ন সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু তাতে যোগ দেয়নি তৃণমূল ও বিজেপি শ্রমিক সংগঠন। ২৬ নভেম্বরেই রাজ্য সরকারের ভূমিকা আরও একবার প্রমাণ করবে তৃণমূল ও বিজেপির ভিতরে ভিতরে আঁতাত রয়েছে। (Biman Basu attacked BJP TMC Alliance)” ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলিমুদ্দিনে বৈঠক হয়েছে ১৬টি বাম সংগঠন দলের।

ধর্মঘটে সায় না থাকলেও একই ইস্যুতে পথে নামবে তৃণমূলও। উল্লেখ্য, আগেই কৃষি আইনের বিরোধিতায় সংসদে সরব হয়েছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “যে বিষয়গুলি নিয়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তৃণমূল আগেই তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সবাই দেখেছে। আমরা আবারও রাস্তায় নামব।”

আরও পড়ুন: বাংলায় ‘লভ’ এবং ‘জিহাদ’এর সহাবস্থান নেই, মন খুলে ভালবাসুন, বললেন নুসরত

উল্লেখ্য, একুশের আগে আরও একবার বঙ্গে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে বাম শিবিরকে। কৃষি আইনের বিরোধিতা করেই হোক কিংবা কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের সমালোচনায়- দীর্ঘ নিঃস্তব্ধতার পর আরও একবার ক্যামেরার সামনে সুর চড়াতে দেখা গেল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে। এটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।