দিলীপ ‘ভয়ঙ্কর ভাইরাস’! তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য হিসাবে নেওয়া যেতে পারে: অনুব্রত

এক দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে দিলীপ ঘোষকে সরাসরি তৃণমূলের যোগদানের প্রস্তাব দেন কেষ্ট। তবে যোগদানের ক্ষেত্রে যে শর্ত তিনি দিয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছ,. তাঁকে 'বড় ভয়ঙ্কর ভাইরাস' বলে আখ্যা দেন অনুব্রত মণ্ডল

দিলীপ 'ভয়ঙ্কর ভাইরাস'! তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য হিসাবে নেওয়া যেতে পারে: অনুব্রত
anubrata vs dilip war of words
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 9:49 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বঙ্গ রাজনীতির দুই ঠোঁটকাটা নেতার বাকযুদ্ধে জমে উঠেছে বীরভূমের রাজনীতি। যুদ্ধের এক দিকে রয়েছেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), অন্যদিকে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শনিবার ইলামবাজারের এক দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে দিলীপ ঘোষকে সরাসরি তৃণমূলের যোগদানের প্রস্তাব দেন কেষ্ট। তবে যোগদানের ক্ষেত্রে যে শর্ত তিনি দিয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও কম যান না, তিনিও পাল্টা তোপ দেখেছেন অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশে।

শনিবারের সভা থেকে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে তাঁকে ‘বড় ভয়ঙ্কর ভাইরাস’ বলে আখ্যা দেন অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টর দাবি, দিলীপ ঘোষের চেয়ে বড় ভাইরাস পশ্চিমবঙ্গে আর দ্বিতীয় কেউ নেই। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের এলে আমাদের বুথ কমিটির লোকেরা দলে নিয়ে নেবে। ‘কিন্তু ও ভয়ঙ্কর ভাইরাস।’ তাই শর্ত হিসেবে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে স্যানিটাইজ করিয়ে গোবর মাখিয়ে ডোবার জলে স্নান করানোর নিদান দেন অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, বছরে ২ কোটি চাকরি দেবে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে, কত কিছুই তো বলেছিল। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। ভারতবর্ষকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যেখানে জিডিপি বৃদ্ধির হার বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের থেকেও কম।

অনুব্রত মণ্ডলের এই কটাক্ষের জবাব দিতে দেরি করেননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি পাল্টা বলেন, আগে উনি অনেক ডায়ালগ দিয়েছেন। কিছুই করতে পারেননি। ঢাক বাজাবেন বলেছিলেন। ঢাকের কোনও আওয়াজ তো শুনতে পাইনি। এখন ভলিয়্যুমটা খানিকটা কমেছে, মনে হয় স্পিকারের কানেকশন ধীরে ধীরে বন্ধ হবে।

আরও পড়ুন: আসানসোল ডিভিশনেও লোকাল ট্রেন চালুর প্রস্তুতি তুঙ্গে, বৈঠকে বসছে রেল-রাজ্য

বিতর্কিত মন্তব্য করে হামেশাই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঝাঁজ’ যে গত এক বছরে কিছুটা হলেও কমেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আগে যে অনুব্রত বিস্ফোরক মন্তব্য করে রোজই খবরের শিরোনামে আসতেন ও অনেক সময়ই দলকে বিপাকে ফেলতেন, তিনি অনেকটাই চুপ করে গিয়েছেন। দিলীপের ভাষায়, অনুব্রতর এই ‘ভলিয়্যুম’ কমে যাওয়ার নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোরের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেন। এবং মাসখানেকের মধ্যে এমন কয়েকজন নেতাদের মুখে ‘নিউকোপ্লাস্ট’ লাগাতে বাধ্য করেন, যাদের বাণী দলকে অসুবিধায় ফেলেছে।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর মানুষ। তিনি সর্বদাই ডোন্ট কেয়ার মনোভাব নিয়ে চলেন। দলের হাইকমান্ড তাঁকে একাধিকবার সাবধান করলেও ‘রনংদেহি’ মেজাজ ছাড়েননি দিলীপ। এবং ভোট যত এগিয়ে আসবে, দিলীপ ঘোষও যে ততটাই মুডে আসবেন সেটা এখন থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।