AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টলিউডে সুবিধা পাওয়ার জন্যই তৃণমূলে পার্নো?

পার্নো মিত্রর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ Tv9 বাংলাকে জানিয়েছেন, ''অভিনেত্রীদের একবার বিজেপিতে ছোঁয়া লেগে গেলে, টলিউডে তাঁরা কাজ পায় না। তখন বাধ্য হয়েই তৃণমূলে যোগ দিতে হয়। কাজ পেতেই তৃণমূল করতে হয়। এরা তো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, কোনও একটা ছত্রছায়ায় থাকতে হবে।

টলিউডে সুবিধা পাওয়ার জন্যই তৃণমূলে পার্নো?
| Updated on: Dec 26, 2025 | 2:34 PM
Share

ছিলেন গেরুয়া শিবিরে। এবার এলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূলে যোগ দিয়ে পার্নো স্পষ্ট জানালেন, ৬ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভুল করেছিলেন তিনি। যেমনটা ভেবেছিলেন, তেমনটা হয়নি। সেই ক্ষোভ থেকেই এবার তৃণমূলে যোগদান করা। তবে পার্নোর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিজেপি শিবিরের অন্দরে অন্য কথা। পার্নো মিত্র নাকি টলিউডে কাজ পেতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন!

পার্নো মিত্রর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ Tv9 বাংলাকে জানিয়েছেন, ”অভিনেত্রীদের একবার বিজেপিতে ছোঁয়া লেগে গেলে, টলিউডে তাঁরা কাজ পায় না। তখন বাধ্য হয়েই তৃণমূলে যোগ দিতে হয়। কাজ পেতেই তৃণমূল করতে হয়। এরা তো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, কোনও একটা ছত্রছায়ায় থাকতে হবে। গতবার নির্বাচনে উনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ওকে দেখা যায়নি। সিনেমা উনি পাচ্ছিলেন না তাই গিয়েছে। প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। এর থেকে বেশি কী আর বলব!”

তবে সজলের কথাই সত্যি? টলিউডে সুবিধা পেতেই তৃণমূলে?

টিভি নাইন বাংলার তরফ থেকে এই প্রশ্ন পার্নোর কাছে রাখা হলে, পার্নো স্পষ্ট জানান, মানুষ তো সব কিছু নিয়েই সমালোচনা করবে। সেটা আটকাতে পারব না। কানও দিতে চাই না। তবে আমি কোনও সুবিধা নিতে তৃণমূলে যোগদান করিনি।

নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন পার্নো?

পার্নো বলেন, ”এটা আমার হাতে নেই। আগেরবারও ছিল না। এটা দল সিদ্ধান্ত নেবে। ম্যাডাম সিএম সিদ্ধান্ত নেবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন। এটার জন্য আমি মুখিয়ে নেই। যা দায়িত্ব দেওয়া হোক না কেন, সেটাতেই আমার ফোকা থাকবে।”

২০১৯ সালের জুলাইয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পার্নো মিত্র বরাহনগরের আসনে লড়েছিলেন বিজেপির হয়ে। সেই সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে তাঁর বিপরীতে ভোটে লড়েছিলেন তাপস রায়। ২০২৫-এর পরিস্থিতিতে বিস্তর ফারাক। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হয়ে বরাহনগরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্নোর মনে যে গেরুয়া শিবির ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল, তা তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন বলেই খবর। তৃণমূল কংগ্রেসে অভিনেত্রী যোগ দেওয়ায়, তা নিশ্চিত হয়ে গেল।