লোকসভা নির্বাচন ২০২৪
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি বটে, কিন্তু তপ্ত হতে শুরু করে দিয়েছে রাজনীতির বাতাবরণ। আগামী ১৬ জুন ১৭ তম লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সুতরাং, এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ১৬ জুনের আগে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। বর্তমানে দেশে মোট ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এনডিএ জোটে ৩০টিরও বেশি বন্ধু দল রয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে ২৮টি দল। এবারের ভোটে লড়াই মূলত একদিকে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট এবং অন্যদিকে কংগ্রেস ও তার ইন্ডিয়া জোটের। তবে এখানে বিএসপি, বিজেডি এবং অকালি দলের মতো রাজনৈতিক দলগুলিও রয়েছে, যারা কোনও জোটের মধ্যে নেই।
গত লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৯ সালে মোট সাত দফায় নির্বাচন হয়েছিল। ভোটগ্রহণ পর্ব চলেছিল ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত। আর ভোটের রেজাল্ট এসেছিল ২৩ মে। ২০১৯ সালের ভোটে গোটা দেশে ভোটার ছিলেন মোট প্রায় ৯১ কোটি ২০ লাখ। তাঁদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছিলেন ৬৭ শতাংশ ভোটার। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৩৭.৩৬ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ১৯.৪৯ শতাংশ ভোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ম্যাজিকে ভর করে টানা দু’বার লোকসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য পায় বিজেপি। আর এবার সামনে আরও একটা নির্বাচন। ২০২৪ সালেও আরও বড় ব্যবধানে জিতে জয়ের হ্যাটট্রিকের চেষ্টায় রয়েছে পদ্ম শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপিকে ঠেকানোর।
লোকসভার একটি পূর্ণ টার্মের কার্যকালের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। সেই পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ভোট করাতে হয়। এক্ষেত্রে কমিশনকে ভোটের তারিখ এমনভাবে স্থির করতে হয়, যাতে না কোনওভাবেই সংবিধান নির্ধারিত সময়সীমাকে না ছাপিয়ে যায়। পাশাপাশি প্রার্থীরা যাতে ভোটের প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সময় পান, সেদিকেও নজর রাাখতে হয় এবং সাধারণভাবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের তারিখের ব্যবধান রাখতে হয় প্রায় ৪০-৪৫ দিন। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান এবার এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ভোট হতে পারে। পাশাপাশি মার্চ থেকে মে মাস আবহাওয়াও খুব বিরূপ হয় না। এবারের ভোট পাঁচ-সাত দফায় আয়োজন করা হতে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।