AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আসানসোল ডিভিশনেও লোকাল ট্রেন চালুর প্রস্তুতি তুঙ্গে, বৈঠকে বসছে রেল-রাজ্য

ট্রেন চলাচল নিয়ে পূর্ব রেল (Eastern Railway) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসতে পারেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা, আসানসোল ডিভিশনেও লোকাল ট্রেন চালুর সম্ভাবনা দেখা যেতে শুরু করেছে

আসানসোল ডিভিশনেও লোকাল ট্রেন চালুর প্রস্তুতি তুঙ্গে, বৈঠকে বসছে রেল-রাজ্য
asansol local
| Updated on: Nov 27, 2020 | 9:46 AM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ অপেক্ষার পর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই কলকাতা ও হাওড়া সংযোগকারী লোকাল ট্রেন (Local Train) চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন শহরতলির বাসিন্দারা। কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য অংশে এখনও লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ায়নি। এবার এই সমস্যা সমাধানেও এগিয়ে আসছে নবান্ন (Nabanna)। সূত্রের খবর, দুই বর্ধমান জেলার মধ্যে ট্রেন চলাচল নিয়ে পূর্ব রেল (Eastern Railway) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসতে পারেন রাজ্য প্রশাসনের (WB Govt) কর্তারা।

কোভিড পরিস্থিতির কারণে গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন চলাচল। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসা; রেল-নির্ভর সবকিছুই আটকে পড়ায় নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল হকার অসন্তোষ। তবে অবশেষে গত ১১ নভেম্বর শিয়ালদাহ ও হাওড়া রুটে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়। কিন্তু আসানসোল ডিভিশনে (Asansol Division) লোকাল ট্রেন চালুর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তখনও নেওয়া হয়নি।

কলকাতা লাগোয়া শহরতলি বাদে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি লোকাল ট্রেন চলে আসানসোল ডিভিশনেই। দুই বর্ধমানের পাশাপাশি বীরভূমের রামপুরহাট, মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ রুটেও যাত্রীদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। মহানগরীকে কেন্দ্র করে ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও আসানসোল ডিভিশনে তা না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন হকারাও।

আরও পড়ুন: মমতাকে ‘পিসি’ সম্বোধন, মালব্যের আইটি সেলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তৃণমূলের

তবে শেষ পর্যন্ত আসানসোল ডিভিশনেও লোকাল ট্রেন চালুর সম্ভাবনা দেখা যেতে শুরু করেছে। সোমবার সন্ধের মধ্যেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে রেলকে আবেদন করা হতে পারে হাওড়া ও শিয়ালদা রুটে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য। কেননা কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর তাতে আগের চেনা ভিড়ই দেখা গিয়েছে। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। তাই দূরত্ববিধি বজায় রাখার বিষয়টি কীভাবে পালন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে দু’তরফে।