হোয়াইট হাউসে তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে ইরানে হামলা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!
তড়িঘড়ি ট্রাম্পের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, প্রতিরক্ষা সচিব খ্রিস্টোফার মিলার ও জেনারেল মার্ক মিলে।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: গত সপ্তাহে ইরানে (Iran) হামলা করতে চাইছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু পরে সরে আসেন এই সিদ্ধান্ত থেকে। সোমবারই এমন চাঞ্চল্যকর কথা জানাতে মিলল মার্কিন আধিকারিকদের সূত্রে।
কয়েক দিন আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে ইরানে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মজুত থাকা ইউরেনিয়াম। আগে ইরানের কাছে ইউরেনিয়াম ছিল ২.৪ টন, তা এখন ২০২.৮ কিলোগ্রামের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলছে অল্প সময়ে ৩৩৭.৫ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে ইরান। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ইরানের প্রধান পরমাণু কেন্দ্রে হামলা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।
তড়িঘড়ি ট্রাম্পের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, প্রতিরক্ষা সচিব খ্রিস্টোফার মিলার ও জেনারেল মার্ক মিলে। মিটিংয়ে হামলা না করার সিদ্ধান্ত হয়। উপদেষ্টারা ট্রাম্পকে জানান, হামলা করলে আরও বড় সমস্য়ার সৃষ্টি হতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই উপদেষ্টারা মিটিংয়ের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতকে আগাম ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া! চিনের ভাগ্যে ‘লবডঙ্কা’
সূত্রের খবর, উপদেষ্টারা হামলায় না করার পর ট্রাম্প বিকল্প পদ্ধতি জানতে চান। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ৪ বছরই ট্রাম্প কঠোর অবস্থান দেখিয়েছেন ইরানের প্রতি। তাঁর আমলেই ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসেছিল আমেরিকা। পরবর্তীকালে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকার ড্রোন হামলায় বাগদাদ বিমান বন্দরে প্রাণ হারাতে হয় ইরানের মিলিটারি জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে। তারপর পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে ট্রাম্পের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারপোলে শরণাপন্ন হয়েছিল ইরান।
I WON THE ELECTION!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 16, 2020
সম্প্রতি মার্কিন নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্প সে কথা মানতে নারাজ। একের পর এক নাটকীয় টুইটে লিখছেন তিনিই জিতেছেন। হিসাব মতো জানুয়ারি মাসেই হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা পাবেন বাইডেন। তার আগে ইরানের প্রধান পরমাণু কেন্দ্র নাতান্জে যদি ট্রাম্প হামলা করতেন, তার বিপুল প্রভাব পড়ত মার্কিন বিদেশ নীতিতে। যার ফলে ক্ষমতায় এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হতো বাইডেনের জন্য। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।