বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তীর কেরিয়ার শুরুর প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে ক্যামেরার সামনে তাঁর ডেবিউ। কলকাতার বুকে বেশ কয়েকটি ছবি করে পা বাড়িয়েছিলেন ‘বম্বে’তে। ১৯৬২ সাল, ‘বিশ সাল বাদ’ ছবিতে ঝড় তোলেন তিনি। চলচ্চিত্র জগত পেয়েছিল নতুন নায়ককে। অভিনয়ের দাপট সঙ্গে সুদর্শন, সব মিলিয়ে বিশ্বজিৎ রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন সকলের স্বপ্নের নায়ক। তারপর মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতার বুক থেকে বলিউডে গিয়ে কাজের সুযোগ পান অনেকেই। বেশ কিছু ভাল চরিত্রে কাজও করেন তাঁরা। তাই বলে প্রতিযোগিতার বাজারে দীর্ঘদিন দাপটের সঙ্গে রাজ করতে পারেন ক’জন? মিঠুন চক্রবর্তীর দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার খবর কানে পেতেই নস্ট্যালজিয়া বিশ্বজিৎ। গর্বে ভরে উঠল তাঁর বুক।
TV9 বাংলাকে বললেন, ‘বাঙালি হিসাবে আজ গর্বিত। মিঠুন আমার ভাইয়ের মতো। আমি কলকাতা থেকে মুম্বই এসে যেমন তারকা হতে পেরেছিলাম, সেটা মিঠুন ছাড়া আর কেউ হতে পারেননি। মিঠুন যে পুরস্কার পেল, তার যোগ্য। এতবার জাতীয় পুরস্কার আর কোনও অভিনেতা পাননি বলেই মনে হচ্ছে। ওঁর পরিশ্রম করার ক্ষমতা দেখি। শরীর খারাপের পরও, যেভাবে শুটিং করছে বা যেভাবে রাজনৈতিক প্রচারে দেখি, সেই পরিশ্রম করার ক্ষমতা অনুপ্রেরণা হতে পারে যে কোনও পেশার মানুষের কাছে। বাঙালির এমন উত্থান সেলিব্রেট করা উচিত আমাদের সবার। আজকে মনটা ওঁর জন্য গর্বে ভরে আছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে এই সুখবরটি ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সপ্তাহের শুরুতেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “মিঠুনদার অসাধারণ অভিনয় যাত্রা পরবর্তী সব প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি দাদাসাহেব ফালকে জুরি থেকে ঠিক করা হয়েছে এ বছর শ্রী মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। চলতি বছরের ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ৭০ তম আন্তর্জাতিক ন্যাশানাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি।”