‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর প্রতিযোগীর চরম পরিণতি!উদ্ধার নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ

Dipankar Das | Edited By: utsha hazra

Jan 15, 2025 | 9:11 PM

Dance Bangla Dance: ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল 'ডান্স বাংলা ডান্স' খ্যাত নাবালিকার মৃতদেহ। মঙ্গলবার রাতে বনগাঁর চাঁদপাড়া অঞ্চলে ঘটেছে এই ঘটনা। বছর ১৭'র মৃতদেহর পাশ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। স্থানীয় কয়েকজন যুবক নাকি তাকে মানসিক চাপ দিচ্ছিল!

ডান্স বাংলা ডান্স-এর প্রতিযোগীর চরম পরিণতি!উদ্ধার নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ

Follow Us

ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ খ্যাত নাবালিকার মৃতদেহ। মঙ্গলবার রাতে বনগাঁর চাঁদপাড়া অঞ্চলে ঘটেছে এই ঘটনা। বছর ১৭’র মৃতদেহর পাশ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। স্থানীয় কয়েকজন যুবক নাকি তাকে মানসিক চাপ দিচ্ছিল! দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করছিল। তার জেরেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এমনটাই দাবি তার পরিবার এবং স্থানীয়দের। গাইঘাটা থানার পুলিশ ইতমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বনগাঁ সাতভাই কালিতলা পুজো দিয়ে বিকালে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। রাতে মায়ের সঙ্গে একটি কালীপূজা বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তার মাকে সে বলেছিল তুমি পুজোর বাড়িতে যাও আমি দশ মিনিট পরে যাচ্ছি।
পরিবারের অভিযোগ, তার কিছুক্ষণ পরে মৃতার বাবার কাছে একটি ফোন আসে। তার এক বন্ধু ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। তড়িঘড়ি তার বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে নিজের ঘরে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে।

২০১৬ সালে ডান্স বাংলা ডান্স রিয়্যালিটি শো-এর অংশ নিয়েছিল সে। গ্র্যান্ড ফাইনালেও দেখা গিয়েছিল তার পারফরম্যান্স। সেই দৌলতেই বিভিন্ন জায়গায় শো করার জন্য তার ডাকও পড়ত। এলাকায় বেশ নামডাক হয়েছিল তার। এত কিছুর পর কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল ১৭ বছরের এই নাবালিকা?উঠছে প্রশ্ন। সেই ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এলাকার ৩ যুবকের। বাবা অমল দাস এবং মা মৃদুলা দাসের দাবি, বুলটন, বিট্টু , সুমন্ত-সহ বেশ কয়েক জন তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল। তাদের সঙ্গে মিশতে জোর করা হত। নানা ভাবে নাবালিকাকে ভয়ও দেখানো হত। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও মৃতার পরিবার। তিন যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গাইঘাটা থানায়।

Next Article