পতৌদি পরিবারের ছোটে নাবাব সইফ আলি খানের দুটো বিয়ে। প্রথম বিয়ে অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে। সেই বিয়ে থেকে রয়েছে তাঁদের দুই সন্তান–ইব্রাহিম আলি খান এবং সারা আলি খান। সাইফ আলি খানের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম করিনা কাপুর খান। অমৃতার সঙ্গে ডিভোর্সের বেশ কিছু বছর পর করিনাকে বিয়ে করেন সইফ। তাঁদের দুই সন্তান–তৈমুর আলি খান এবং জেহ আলি খান। তৈমুরের জন্ম হওয়ার পর গোটা দেশে সে ভাইরাল হয়ে ওঠে। তাঁকে নিয়ে প্রচুর কৌতূহল ছিল মানুষের। সে রাতারাতি হয়ে ওঠে স্টার। টাইমুরের মতো দেখতে পুতুলও তৈরি হয়। কিন্তু জানেন কি, তৈমুরের শরীরে বইয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্ত।
এর কারণ অবশ্যই সইফ আলি খানের মা শর্মিলা ঠাকুর। তৈমুর ও তাঁর ভাই-বোনেরা। এমনকী, সইফ এবং তাঁর ভাই-বোনেরাও রবীন্দ্রনাথের বংশধর। তার কারণ শর্মিলা নিজে ঠাকুর পরিবারের মেয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররা ব্রাহ্ম ছিলেন। কিন্তু শর্মিলারা নন। তিনি ছিলেন গুণীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর। গুণীন্দ্রনাথরা ব্রাহ্ম ছিলেন না, তাঁর ব্রাহ্মণ। ঠাকুর পরিবারের কন্যা হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন শর্মিলা। নাচ-গান-আবৃত্তি-সাহিত্যচর্চা এসব কিছুই ছিল তাঁর বেড়ে ওঠার সঙ্গী। পারিবারিক সংস্কৃতিতে সম্পূর্ণ শিক্ষা লাভ করেছিলেন শর্মিলা।
ফলে শর্মিলার সেই ঠাকুর পরিবারের রক্তই তো বইছে তৈমুদের শরীরে। ঠাকুর পরিবারের আদরের মেয়ে শর্মিলা সিনেমায় আসার পর জড়িয়েছিলেন কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে। বহু বছর সম্পর্কে থাকার পর শর্মিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শর্মিলা তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন এবং আয়েশা বেগম হয়ে প্রবেশ করেছিলেন পতৌদি পরিবারে।