শর্মিলা ঠাকুর, বিয়ে করেছিলেন পাতৌদিকে। তবে এই বিয়ে নিয়েও কম ঝড় বয়ে যায়নি তাঁর মাথার ওপর দিয়ে। বিয়ে মানেই একশ্রেণি মনে করতেন কেরিয়ার শেষ বিয়ে মানেই একশ্রেণি মনে করতেন বাড়িতে বসে যাওয়া, সন্তান মানুষ করা সংসার করা। কিন্তু এই সংজ্ঞা বিন্দুমাত্র না পাল্টে বেশ কিছু নারী দশকের পর দশক ধরে বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের পরিচিতি। সেই তালিকায় থাকা অন্যতম অভিনেত্রী হলেন শর্মিলা ঠাকুর। তিনি বিয়ে করে নিজের কেরিয়ারকে ছাড়তে বিন্দুমাত্র রাজি ছিলেন না। শুনতে হয়েছিল অনেক কথাই। কেউ বলেছিলেন কাজ অর্থাৎ অভিনয় না ছাড়লে বিয়ে ভেঙে যাবে। কেউ বলেছিলেন এভাবে সংসার টিকিয়ে রাখা যাবে না।
কিন্তু একবার তিনি সমস্যা খুব গভীরভাবে অনুভব করেছিলেন। তখন সবে মাত্র মুক্তি পেয়েছে আরাধনা ছবি। সর্বত্র শর্মিলা ঠাকুরের নামে জয়জয়কার। এমনই সময় হঠাৎ শর্মিলা ঠাকুর একদিন বেজায় সমস্যায় থাকেন। রাতে স্টেশনে পৌঁছিয়ে ছিলেন ট্রেন ধরতে। হাতে তখন তাঁর ছোট্ট সইফ আলি খান। হঠাৎই শর্মিলাকে দেখে ভিড় জমে যায়। সেখান থেকে সরে যাওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। তখন শর্মিলা ঠাকুর অনুভব করেছিলেন যে তিনি এখন আর একা নন। তাঁর সঙ্গে একটি সন্তানও রয়েছে। তাই তিনি এখন যেমনটা ইচ্ছে তেমন করতে পারেন না, তখন থেকেই বেশ কিছুটা সচেতন হয়ে গিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। বুঝে ছিলেন তাঁর জীবনটা এখন আর কেবল তাঁকে কেন্দ্রিক নয়। তাঁর জীবনটা এখন তাঁর সন্তানকে নিয়েও আবর্তিত। সেই রাত শর্মিলা ঠাকুরের কাঠে ছিল এক শিক্ষা। তারপর থেকেই তিনি অনেকটা বেশি সচেতন হয়ে গিয়েছিলেন।