‘মা-বাবার উপর অভিমান হয়, চিৎকার করি’, কোন আবেগে ভাসলেন শ্রীময়ী?

Nov 23, 2024 | 1:32 PM

Tollywood: মা-বাবার ওপর অভিমান কার না হয়! কথায় কথায় অনেকেই হয়তো সীমা ছাড়িয়ে ফেলেন। রাগ করে বসে থাকেন। শ্রীময়ী সেই তালিকা থেকে নিজেকে মোটেও বাদ রাখতে চান না। তবে যা বলতে চান, তা হল, তাঁর জীবনের শক্তিই হচ্ছে তাঁর পরিবার। যেভাবে ছোট থেকে তাঁর মা-বাবা তাঁকে বড় করেছেন, তা শ্রীময়ীর কাছে পাথেয়। 

মা-বাবার উপর অভিমান হয়, চিৎকার করি, কোন আবেগে ভাসলেন শ্রীময়ী?

Follow Us

শ্রীময়ী চট্টোরাজ, খুব অল্প বয়সেই গুছিয়ে পেতেছেন সংসার। এই সংসার করাটাও একটা মস্ত বিষয়। অনেকেই হয়তো তাই তালি মিলিয়ে সংসার গুছিয়ে উঠতে পারেন না। বিশেষ করে বর্তমান যুগে যে ধরনের জীবনযাপন অধিকাংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাতে সংসারের সমস্ত বিষয় দেখে বাইরের জগত সামলে, সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটা সত্যি একপ্রকারের চ্যালেঞ্জের মতো। তবে শ্রীময়ী এই কাজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন ভালবেসেই। নেপথ্যে তাঁর পরিবার। মা বাবার বিবাহবার্ষিকীতে সেই কঠিন বাস্তবের মুখোমুখিই দাঁড়ালেন অভিনেত্রী। মা-বাবার ওপর অভিমান কার না হয়, কথায় কথায় অনেকেই হয়তো সীমা ছাড়িয়ে কিছু করে ফেলেন, বা তর্ক করে বসেন, শ্রীময়ী সেই তালিকা থেকে নিজেকে মোটেও বাদ রাখতে চান না। তবে যা বলতে চান, তা হল, তাঁর জীবনের শক্তিই হচ্ছে তাঁর পরিবার। যেভাবে ছোট থেকে তাঁর মা-বাবা তাঁকে বড় করেছেন, তা শ্রীময়ীর কাছে পাথেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই মা-বাবাকে নিয়ে কলম ধরতে দেখা যায় শ্রীময়ীকে। কী লিখলেন তিনি? “আমি বা আমার দিদি বড় হয়েছি একটা সুস্থ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে। আমরা শৈশবটা শৈশবের মতো করে কাটিয়েছি। আমার মা হয়তো কোনও অফিসে চাকরি করেনি, কিন্তু বাড়ির যে চাকরিটা পালন করেছে তার জন্যই বোধহয় আমার , দিদির ,আমার দিদির মেয়েরা , এমনকি এখন আমার মেয়ে তার দিদা এবং দাদুর যত্নে বড় হচ্ছে। বাবা অফিস থেকে এসে কী খাবে,আমাদের কোনটা দরকার, কোন টিচার দরকার, কোন খাবারটা মুখের কাছে তুলে দেওয়া দরকার, জ্বর হলে সারা রাত জেগে বসে থাকা, জলপট্টি দেওয়া, আমাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, টিউশনে নিয়ে যাওয়া, দিদিকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া ,টিউশনে নিয়ে যাওয়া, আমাকে একটা সময় পর্যন্ত শুটিংয়ে পৌঁছে ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করে থাকা, এগুলো সব মায়ের অবদান। তার নাতনিদের কী ভাল লাগে, সবটাই মুখ বুঝে, হাসিমুখে ধৈর্য্য ধরে দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে করে এসেছে।”

কেবল মা নয়, বাবার প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন শ্রীময়ী। বললেন, “আর বাবার কথা যদি বলি সংসারের কোনটা প্রয়োজন,জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ ,গ্যাসের বিল, ইলেকট্রিক বিল, আমারও দিদির স্কুল ফি, টিউশন ফি,মেয়েদের কী দরকার, সংসারের কি প্রয়োজন, কোন খেলনাটা নাতনিদের দরকার, কোন খাবারটা মেয়েদের বায়না, মায়ের কোন শাড়ি ,কোন গয়নাটা দরকার ,বাইরের পুরো জগৎটাই বাবা সামলেছে, এখনও সামলাই। তাই মা আর বাবা শব্দটা আমার কাছে খুব বড়। হয়তো মা-বাবার উপর অভিমান হয়, চিৎকার করি, আমি এ যুগের মেয়ে হয়ে বলতে পারি আমাদের মধ্যে সেই ধৈর্য নেই, যে ধৈর্য তাঁরা অর্জন করেছে দীর্ঘ বছর ধরে। কিন্তু তবুও মায়ের থেকে শেখা, যে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে সংসারী হতে হয়, কীভাবে সমস্ত রকম পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে হয়।”

Next Article