তনুজা। মহারাষ্ট্রের সেই সুন্দরী অভিনেত্রী, যাঁর কদর ছিল টলিউড-বলিউড দু’জায়গাতেই। তিনি বিয়ে করেছিলেন বাঙালি পরিচালক সোমু মুখোপাধ্যায়কে। তাঁদের দুই সন্তান–কাজল এবং তানিশা। বলিউডে তো বটেই, তনুজা অভিনয় করেছিলেন বাংলার কিছু উল্লেখযোগ্য ছবিতেও। উত্তমকুমার অভিনীত ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘দেয়া নেয়া’তে কাস্ট করা হয় তনুজাকে। সেই তনুজার কন্যা কাজল পরবর্তী সময় বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। শুরু থেকেই তনুজার সঙ্গে কাজলের তুলনা করা হয়েছিল। অনেকে মনে করেন তনুজার রূপের ধারে-কাছে আসতে পারেননি কাজল। তবে অনেকেই মনে করেন, কাজল হলেন তাঁর মায়েরই প্রতিচ্ছবি।
একবার একটি সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন কাজল। একটি ছবিতে মায়ের ব্লাউজ় এবং শাড়ি পরে দাঁত বের করে হাসতে দেখা যায় কাজলকে। একটি ছবিতে মায়ের সঙ্গে তিনি এবং তানিশা। অন্য একটি ছবিতে মায়ের সঙ্গে পার্টিতে যাচ্ছিলেন কাজল-তানিশা। শেষের উল্লেখিত ছবিটি দেখিয়ে কাজল এক অদ্ভুত মন্তব্য করেছিলেন তার নিজের সম্পর্কে। তিনি বলেছিলেন, “এই ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, আমি এবং আমার বোন মায়ের পালিত সন্তান। তার সঙ্গে আমাদের চেহারার কোনও মিলই নেই।” বলেছিলেন, “এখন মানুষ বলতে থাকেন আমাকে নাকি মায়ের মতোই দেখতে। মায়ের মতো আমার নিজেরও মাঝে-মাঝে মনে হয়, সত্যি তো আমাকে আমার মায়ের মতই দেখতে লাগছে।” এ বিষয়টা আমাকে খুব আনন্দ দেয়।
বলিউডের নায়ক অজয় দেবগণকে বিয়ে করেছেন কাজল। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনা এবং প্রযোজনাও করেন অজয়। অজয়কে বিয়ে করার পর কাজল অভিনয় থেকে বেশকিছু বছর দূরে সরে গিয়েছিলেন। সংসার এবং সন্তান নিয়েই কেটেছিল তাঁর সময়। তারপর কামব্যাক করেছেন কাজল। ফের অভিনয় করেছেন শাহরুখ খানের সঙ্গে। বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ়েও দেখা গিয়েছে তাঁকে।