নয়া দিল্লি: স্থলভাগের জঙ্গলে যাদের বসবাস, সেই সব প্রাণীর তথ্য অনেক সহজে পৌঁছে যায় বন দফতর বা প্রশাসনের কাছে। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বাঘ, গণ্ডার, হাতীর মতো প্রাণীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখাও খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবে জলের তলার খবর কে রাখে! এবার নতুন পদক্ষেপ করল ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া (WII)।
ভারতে প্রথমবার ডলফিনে করা হল স্যাটেলাইট ট্যাগিং। বুধবার ওই ডলফিনকে গঙ্গা থেকে তুলে বহ্মপুত্রে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একটি পুরুষ ডলফিন ছিল সেটি। অসমের কামরুপে ডলফিনকে ওই ট্যাগিং করা হয়েছে। সমুদ্রের তলায় প্রাণীরা কীভাবে থাকে, কী ঘটে তাদের সঙ্গে, সেই সব তথ্য জানা যাবে সহজেই।
যে সব প্রজাতির প্রাণী বিপদের মুখে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এইভাবে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তাদের কথোপকথন বোঝার চেষ্টা করবেন বিশেষজ্ঞরা। এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি বলেন, প্রথমবার গঙ্গার ডলফিনে স্যাটেলাইট ট্যাগিং করায় আমরা ওদের ভাষা আরও ভাল বুঝতে পারব।
জানা গিয়েছে, একসময় গঙ্গায় প্রায় ১০,০০০ টি ডলফিন ছিল। বর্তমানে কমতে কমতে তা প্রায় ২০০০-এ ঠেকেছে। কখনও শিকার করা হয়েছে, কখনও মাছ ধরার জন্য ক্ষতি হয়েছে ডলফিনদের। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাত্র ৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য জলের ওপর ভেসে ওঠে ডলফিন। তাই তাদের স্বভাব-চরিত্র বুঝতে অসুবিধা হয়। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনায় বিপুল সংখ্যক ডলফিন থাকলেও তাদের সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায় না। এই ট্যাগিং-এর ফলে অনেক তথ্য় সামনে আসবে। ফলে, তাদের অসুবিধাগুলো বোঝা যাবে, ফলে ডলফিন বাঁচাতেও সুবিধা হবে।