বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুতে নৃশংস খুনে মূল অভিযুক্তকে শীঘ্রই ধরা হবে বলে জানিয়েছিল কর্নাটকের পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ওড়িশায় রয়েছে বলেও জানিয়েছিল তারা। এমনকি, তাকে ধরতে ওড়িশায় রওনা দেয় বেঙ্গালুরু পুলিশের একাধিক টিম। বেঙ্গালুরু পুলিশের টিম ওড়িশায় পৌঁছানোর আগেই আত্মঘাতী হল মূল অভিযুক্ত। বুধবার বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায় নামে মূল অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছে।
গত শনিবার বেঙ্গালুরুর একটি ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে এক যুবতীর টুকরো টুকরো দেহাংশ উদ্ধার হয়। শোরগোল পড়ে বেঙ্গালুরুতে। বছর দুয়েক আগে দিল্লিতেও এমন একটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। শ্রদ্ধা ওয়ালকার নামে এক যুবতীকে টুকরো টুকরো করে কেটেছিল তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। বছর দুয়েক পর বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় হইচই শুরু হয়।
বুধবার কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, “পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে যে মূল অভিযুক্ত ওড়িশায় রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম রওনা দিয়েছে।” বেঙ্গালুরু পুলিশ বিষয়টিকে গভীরভাবে দেখছে বলে জানান তিনি। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, পুলিশ মূল অভিযুক্তকে ট্র্যাক করছে। তবে সে ওড়িশায় ঘন ঘন তার অবস্থান বদলাচ্ছে।
জি পরমেশ্বর আরও জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। তারপরই জানা যায়, মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায় মূল অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে ঘটনার অনেক কিছুই খোলসা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরুতে মহিলাদের সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মধ্য বেঙ্গালুরুর ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ শেখর এইচ টেক্কানভর জানান, মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায়কে গ্রেফতারের আগেই সে আত্মঘাতী হয়েছে। এই খুনের তদন্ত এবার কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে অবশ্য তিনি কিছু বলেননি।