IPS Arrested: দেড় কেজি সোনা, অডি-মার্সিডিজ দাঁড়ানো, IPS অফিসারের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৫ কোটি, এখনও চলছে টাকা গোনা!

CBI Investigation: ডিআইজি পোস্টে কর্মরত হরচরণ সিং ভুল্লার ২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস চলছিল, সেই মামলা ধামাচাপা দিতেই ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। সিবিআই ওই আইপিএস অফিসার ও কৃষ্ণা নামে একজনকে গ্রেফতার করে, যে এই ধরনের কাজে মিডলম্যানের কাজ করত।

IPS Arrested: দেড় কেজি সোনা, অডি-মার্সিডিজ দাঁড়ানো, IPS অফিসারের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৫ কোটি, এখনও চলছে টাকা গোনা!
উদ্ধার হওয়া টাকা ও সোনা।Image Credit source: X

|

Oct 17, 2025 | 10:04 AM

চণ্ডীগঢ়: দুর্নীতি রুখবেন কী, নিজেই দুর্নীতির পাহাড়ে বসে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আইপিএস অফিসার। পঞ্জাবের রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল। ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু। তারপর বাড়িতে হানা দিয়ে যা যা দেখা গেল, তাতে মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। পঞ্জাবের আইপিএস অফিসারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ৫ কোটি নগদ, বিপুল পরিমাণে সোনার গহনা, দামি ঘড়ি থেকে লাক্সারি গাড়ি।

ডিআইজি পোস্টে কর্মরত হরচরণ সিং ভুল্লার ২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস চলছিল, সেই মামলা ধামাচাপা দিতেই ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। সিবিআই ওই আইপিএস অফিসার ও কৃষ্ণা নামে একজনকে গ্রেফতার করে, যে এই ধরনের কাজে মিডলম্যানের কাজ করত। মাসে মাসে কিস্তিতে ঘুষ নিতেন আইপিএস অফিসার। আকাশ বাট্টা নামক ওই ব্যবসায়ীকে ডিআইজি হুমকি দিয়েছিলেন যে প্রথমেই ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ এবং পরে মাসে মাসে কিস্তিতে আরও টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন।

লিখিত অভিযোগ জানানোর পর সিবিআই তদন্ত শুরু করে। চণ্ডীগঢ়ের সেক্টর ২১-এ ফাঁদ পাতে সিবিআই। ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে কৃষ্ণাকে গ্রেফতার করে। এরপরে সিবিআই টিম ডিআইজি ভুল্লারের মোহালির অফিসে পৌঁছয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করে।

মোহালি, রোপার ও চণ্ডীগঢ়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই ৫ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে। এখনও টাকা গোনা চলছে। এছাড়া দেড় কেজি সোনার গহনা, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ি, ২২টি দামি ঘড়ি, ৪০ লিটার বিদেশি মদ, শটগান, পিস্তল, রিভলভার, এয়ারগানে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

মিডলম্যান কৃষ্ণার বাড়ি থেকে নগদ ২১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। আজ, শুক্রবার অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার ও তাঁর মিডলম্যানকে আদালতে পেশ করা হবে। এখনও তল্লাশি চলছে। আর্থিক তছরুপের আরও তথ্য সামনে আসতে পারে।

২০০৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি পদে ছিলেন। এছাড়া মোহালি, সাঙ্গুর, খান্না, হোসিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরের ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর ছিলেন। ২০২১ সালে শিরোমণি অকালি দলের নেতা বিক্রম সিং মাজিথার বিরুদ্ধে মাদক পাচার মামলার তদন্তের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন ভুল্লার।