Shot dead: হামলার আশঙ্কায় FIR করেও রক্ষা পেলেন না মহিলা, ২ শিশু-সহ খুন একই পরিবারের ৪

Oct 04, 2024 | 6:03 PM

Shot dead: অভিযোগপত্রে পুনম জানিয়েছিলেন, গত ১৮ অগস্ট স্বামীর সঙ্গে রায়বরেলিতে একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এক মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে চন্দন ভার্মা নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। অভিযোগপত্রে পুনম জানান, তিনি এর প্রতিবাদ করলে চন্দন তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে চড় মারেন।

Shot dead: হামলার আশঙ্কায় FIR করেও রক্ষা পেলেন না মহিলা, ২ শিশু-সহ খুন একই পরিবারের ৪
ঘটনাস্থলে পুলিশ

Follow Us

আমেঠি: হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। সম্ভাব্য হামলাকারীর নাম জানিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। তারপরও রক্ষা পেলেন না এক মহিলা। বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হল তাঁকে। একইসঙ্গে মহিলার স্বামী ও দুই শিশুকন্যাকেও খুন করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আমেঠিতে।

বৃহস্পতিবার আমেঠির ভবানীনগরে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে ওই চারজনকে খুন করে। মৃত মহিলার নাম পুনম ভারতী। তাঁর স্বামীর নাম সুনীল কুমার। মৃত দুই শিশুকন্যার বয়স ৬ বছর ও এক বছর। তাঁর উপর যে হামলা হতে পারে, সেকথা জানিয়ে মাস দেড়েক আগেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুনম।

অভিযোগপত্রে পুনম জানিয়েছিলেন, গত ১৮ অগস্ট স্বামীর সঙ্গে রায়বরেলিতে একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এক মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে চন্দন ভার্মা নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। অভিযোগপত্রে পুনম জানান, তিনি এর প্রতিবাদ করলে চন্দন তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে চড় মারেন। এবং হুমকি দেন যে, এই নিয়ে অভিযোগ করলে খুন করবেন তাঁকে। এর আগেও চন্দন তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। FIR-এ পুনম লেখেন, “আমার পরিবার বিপদে রয়েছে। যদি ভবিষ্যতে আমার সঙ্গে কিংবা আমার স্বামীর সঙ্গে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তবে চন্দন দায়ী থাকবে।” তাঁর অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পুনম।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলা দেখে বোঝা যাচ্ছে, এটা পূর্ব পরিকল্পিত। চারজনকে খুনে চন্দন যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সুনীল কুমার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়ির বাইরে রাম মনোহর যাদব নামে এক ব্যক্তির ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি বলেন, ” ওই শিক্ষক খুবই ভদ্র ছিলেন। আমি হামলাকারীদের বাড়ির সামনের দরজা দিয়ে ঢুকতে দেখিনি।” পিছনের দিক দিয়ে বাড়িতে ঢোকার রাস্তা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Next Article