Aniket Mahato: RG Kar পারলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নয় কেন? প্রসূতি মৃত্যুতে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন অনিকেত

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 14, 2025 | 12:16 PM

Aniket Mahato: ২-৩ বছরে এরকম একাধিক রোগীর ক্ষেত্রে কেসস্টাডিও হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষানিরিক্ষায় কোনও ফল বের হয়নি। এমনই দাবি করলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক তথা আন্দোলনের মুখ অনিকেত মাহাতো।

Aniket Mahato: RG Kar পারলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নয় কেন? প্রসূতি মৃত্যুতে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন অনিকেত
অনিকেত মাহাতো
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: এই স্যালাইনে বিপদ রয়েছে! তাই আরজি করে প্রসূতিদের এই স্যালাইন দেওয়া আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রথম নয়। ২-৩ বছরে এরকম একাধিক রোগীর ক্ষেত্রে কেসস্টাডিও হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষানিরিক্ষায় কোনও ফল বের হয়নি। এমনই দাবি করলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক তথা আন্দোলনের মুখ অনিকেত মাহাতো। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কেন এখন জুনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই ধরনের রোগী তাঁরা দু’বছরে বহু পেয়েছেন। তখন আরজি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়গুলোকে নিয়ে নানান অনুসন্ধান হয়েছে। কিন্তু সুরাহায় পৌঁছানো যায়নি। তাঁর প্রশ্ন, “তাহলে যে জায়গাটা বলা হচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তারদের গাফিলতি, সিনিয়র ডাক্তাররা ছিলেন নাকি ছিলেন না, যা নিয়ে তদন্ত হতে পারে। কিন্তু স্যালাইন নিয়ে আগেই যেখানে প্রশ্ন উঠেছিল, সে সমস্যার সুরাহা কেন হল না?”

অনিকেতের বক্তব্য,  ২ বছর ধরে এই ধরনের সমস্যা, আর এল স্যালাইন কিংবা বিভিন্ন ধরনের ড্রাগে যে ধরনের সমস্যা হয়েছে, তা তাঁরা আরজি করের ক্ষেত্রেই ১০-১৫জন রোগীর মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শুধু আরজি করেই নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজেও এই ধরনের রোগী রয়েছে। তাহলে এগুলো হল কীভাবে? আরজি করের শেষ ২ বছরের যে ঘটনাক্রমের কথা বলছি, তা সবই পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের আর এল। ওই ধরনের ঘটনা যখন ঘটছিল, তখন থেকে আরজি করে প্রসূতি বিভাগে আমরা আর এল ব্যবহার করি না। আর এস, এন এস ব্যবহার করি। কেন আর এল ব্যবহার করি না, এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আমরা আর পাই না।”

প্রসঙ্গত, প্রসূতি মৃত্যুর আসল কারণ কী, তাই এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবন ও হাসপাতালের তরফ থেকে দুটি তত্ত্ব সামনে এসেছে। একদিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকরা, আর অন্যদিকে, রয়েছেন স্বাস্থ্য় ভবনের শীর্ষ কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, যে বিশেষজ্ঞদের খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল, তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, বুধবার ১৪টা ওটি হয়েছিল। তার মধ্যে প্রথম ৫ টি ওটিতে, সিনিয়র চিকিৎসকরা ছিলেন। রাতে ২টো অপারেশনে সিনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে একজন পিজিটি ছিলেন। আর রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের মধ্যে যে ৭ টি ওটি হয়েছে, তাতে সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। ওটি করেন, থার্ড ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের পিজিটি। তাঁদের অ্যাসিস্ট করেছেন ইন্টার্নরা। বিশেষজ্ঞ কমিটি এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না, কেবল স্যালাইন বিভ্রাটেই এই গন্ডগোল, এর পিছনে ‘হিউম্যান এরর’ও থাকতে পারে। যদিও সেই তত্ত্বের প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন অনিকেত মাহাতো।

Next Article