কলকাতা: আচমকা অ্যাড করা হল Whatsapp গ্রুপে। একজনকে নয়, একেবারে একদল ছাত্রীকে। আর তারপরই ‘অশ্লীল’ মেসেজের বন্যা। প্রত্যেক ছাত্রীই পড়াশোনা করছেন বেহালার একটি স্কুলে। আচমকা এই কাণ্ডে আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। ভয় পাচ্ছেন মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পণ্যশ্রী থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে গ্রুপ অ্যাডমিনের বিরুদ্ধে।
অভিভাবকদের বক্তব্য, শুক্রবার একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের লোকজন স্কুলের কাছে তাঁদের সংস্থার প্রচারে এসেছিল। সেখান থেকেই ছাত্রীদের নম্বর পায়। তারপরই দেখা যায় তাঁদের একটি অদ্ভুত গ্রুপে অ্য়াড করে দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের সন্দেহ ওই কম্পিউটার সেন্টার থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও কম্পিউটার সেন্টারের কর্তাদের মতে তাঁদের সেন্টারের কোনও লোকজন এসব করেনি। ঘটনা জানতে পেরেই তাঁরা সবটা পুলিশকে জানিয়েছেন।
অভিভাবক মুনমুন সরকার বলছেন, “কয়েকদিন ধরেই আমার বরের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ঢুকছিল। কালও ঢুকছিল। তখন মেয়ের কাছে জানতে চায় কোনও গ্রুপে নম্বর অ্যাড করেছে কিনা। মেয়ে বলে সে করেনি। তারপর আমি ফোন করে দেখি ওইসব মেসেজ এসেছে। প্রায় ২৫ টা অচেনা নম্বরও দেখা যাচ্ছে। একটা মেয়ে গ্রুপে জানতেও চায় এটা কী জন্য খোলা হয়েছে। যদি কোনও প্রয়োজন না থাকলে তাহলে ডিলিট করে দেওয়ার কথা বলে। তখন একটা ছেলে ভয়েস মেসেজ করে। বলে, তুমি এত রাগ করছ কেন! ঠান্ডা হও নাহলে উড়ে যাবে। আমরা তো খুবই ভয়ে আছি। হঠাৎ এভাবে নম্বর কীভাবে ছড়িয়ে গেল সেটাই বুঝতে পারছি না!” আর এক অভিভাবক বলছেন, “একটা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের লোকজন স্কুলের বাইরে প্রচার করছিল। ওরা স্কুলেও ক্লাস করায়। ওরাই নম্বর চেয়েছিল। আমার মা আমাদের বাড়ির নম্বর দেয়। যেটা পড়াশোনার জন্য আমার হোন ব্যবহার। ওটাই মা ওই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাছে দিয়েছিল। তারপরই ওদের বৈঠক আড্ডা নামে একটি গ্রুপে অ্যাড করা হয়। ওখানেই যত কাণ্ড। নানা রকম ভুলভাল মেসেজ করছিল। কেমন আছো সুন্দরী?, এই ধরনের নাা মেসেজ করতে থাকে। আমরা খোঁজ করে কৃষ্ণেন্দু নামের একটা ছেলেকে দেখতে পাই। ও গ্রুপ অ্যাডমিন। বেহালায় বাড়ি। আমি ফোন করে ওই ভুলভাল মেসেজের প্রতিবাদ করে আমাকে থ্রেট দেয়।”