কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সাংসদ পদে ‘ইস্তফা’ মিমি চক্রবর্তীর! বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফা দিয়েছেন অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের সাংসদ। আর ভোটে দাঁড়াতে চান না, জানিয়ে দিয়েছেন সে কথাও। তবে মমতা তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেছেন মিমি।
‘রাজনীতি আমার জন্য নয়’
রাজনীতির প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করে মিমি বলেন, ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়। আমি এটা বিশ্বাস করি। কারণ রাজনীতিতে এলে অনেকে একটা লাইসেন্স পেয়ে যায়। জাস্ট র্যানডাম গালাগালি দেওয়া হয়, কিছু করো আর না করো। এটা আমার রুচি নয়।’
‘গালাগাল শুনতে হয়…’
জেনেশুনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি। তবুও গালাগাল শুনতে হয়। এমনটাই দাবি মিমি-র। তিনি বলেন, “হয়ত আপনারা মনে করবেন এটা কোনও কারণই নয়। কিন্তু আমার কাছে এটা একটা বড় কারণ। আমি কোনও রাজনীতিক নই, হতেও চাই না। মানুষের কর্মী হয়ে কাজ করতে চাই। কোনও দিন কারও বিরুদ্ধে কথা বলিনি, অন্য দলের বিরুদ্ধেও নয়।”
‘দিদি বাচ্চার মতো স্নেহ করেন’
মিমি-র দাবি, ২০২২ সালেই পদত্যাগের কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময় মমতা তাঁকে বলেছিলেন সব ঠিক করে দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মিমি বলেন, “উনি আমাকে বাচ্চার মতো ট্রিট করেন। খুবই স্নেহ করেন। আমার যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কি স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।”
স্পিকারের কাছে ইস্তফা না দিয়ে সুপ্রিমোর কাছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মিমি বলেন, ‘দল আমাকে প্রার্থী করেছে, তাই আমি দলের সুপ্রিমোকেই আগে জানিয়েছি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকারকে পাঠিয়ে দেব।’