Ghatal Drinking Water Problem: জলের দাবিতে ট্রান্সফর্মার ইলেকট্রিক বন্ধ
পানীয় জলের দাবিতে ট্রান্সফরমার ইলেকট্রিক বন্ধ করে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর রথতলা এলাকায়।
পানীয় জলের দাবিতে ট্রান্সফরমার ইলেকট্রিক বন্ধ করে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর রথতলা এলাকায়। জানা যায় আজ সকাল থেকেই গুচ্ছ প্রকল্পের কলে আসছে না পানীয় জল। আর জল না পেয়ে গ্রামের ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার বন্ধ করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাড়ায় পাড়ায় গুচ্ছ প্রকল্পের কলে ভোর পাঁচটা থেকে সকাল ন’টা পর্যন্ত দেওয়া হতো পানীয় জল। আজ সকাল থেকেই কলে আসছে না জল, গ্রামবাসীরা জানতে পারে যে অঞ্চলে মিটিং হয়েছে পানীয় জলের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। সকালের পরিবর্তে প্রতাপপুর গ্রামে জল দেওয়া হবে দুপুর দুটোর পর থেকে, সকাল থেকে জল না পেয়ে গ্রামের ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার ইলেকট্রিক সাপ্লাই বন্ধ করে দেয় গ্রামবাসীরা। ঘাটাল হরিশপুর রাস্তা প্রতাপপুর রথতলা এলাকায় পথ অবরোধ করে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মনোহরপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সহ-সভাপতি সুবিনয় জানা। অঞ্চল সহ-সভাপতি থেকে কাছে পেয়ে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। এবং গ্রামবাসীরা আরো জানাই প্রতাপপুর গ্রামে একটি টিউবওয়েল ছিল সেটি অঞ্চল থেকে লোক এসে তুলে নিয়ে চলে গেছে এবং বাকি যে কয়েকটি টিউবওয়েল রয়েছে সেগুলি খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রতাপপুর এ সাত বছর ধরে তৈরি হচ্ছে জলের ট্যাংক, কবে কাজ সম্পন্ন হবে কে জানে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে জল সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন মনপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সহ-সভাপতি সুবিনয় জানা তিনি আরো জানান ২০১৬ সাল থেকে তৈরি হচ্ছে প্রত্যাপুরে পিএইচই জল ট্যাংকের কাজ সাত বছর হয়ে গেলেও এখনো সম্পন্ন হয়নি তার কাজ। এটা আমাদের এজেন্সির দুর্বলতা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আমরা জানিয়েছি কিন্তু কোন সূরাহা হয়নি। আমরা আমাদের পাঁচটি গ্রামে জলপাই পরিবর্তন করে সময় ভাগ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতাপপুরের গ্রামবাসীরা বলছে, আমাদেরকে ভোর পাঁচটা থেকে জল দিতে হবে তার জন্য তারা বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের মুখে পড়ে অঞ্চল সহ-সভাপতির নির্দেশে জল চালু করা হয় প্রতাপপুর গ্রামে।