Durga Puja 2024: উত্‍সবের মরসুমে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা

Sep 26, 2024 | 10:32 PM

Indian Economy: আর্থিকভাবে একদম ওপরের দিকে থাকা ৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তাদের উত্‍সবের বাজেট ৫০ হাজার টাকা। সমীক্ষায় দুটো ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে এসেছে। জিনিসের দাম আর জিনিসের কোয়ালিটি। এই দুটো বিষয় পরখ করেই অধিকাংশ মানুষ জিনিস কেনেন। মানে, প্যাকেজিংয়ের চাকচিক্যে গড়পড়তা ভারতীয়দের ভোলানো যাবে না। সুন্দর মোড়কে বেশি দামে খারাপ জিনিস গছিয়ে দেওয়া যাবে না।

Follow Us

দুর্গাপুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। বাঙালিরা উত্‍সবের মরসুম বলতে এই সময়টাকেই বোঝে। তবে, সারা দেশের নিরিখে উত্‍সবের মরসুম আরও বেশি লম্বা। আমাদের দেশে অগস্টের মাঝামাঝি রাখিবন্ধন দিয়ে ফেস্টিভ সিজন শুরু হয়, তারপর গণেশ চতুর্থী। দক্ষিণ ভারতে ওনাম। নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দশেরা, দিওয়ালি। মাঝে একটু বিরতি দিয়ে ক্রিসমাস ও নিউইয়ার সেলিব্রেশনের মাধ্যমে শেষ হয় উত্‍সবের মরসুম। রোজকার জিনিসপত্র বাদ দিয়ে বাকি সবকিছুর সিংহভাগ কেনাকাটা হয় এই ৫ মাসে। কনজিউমার ডিউরেবলস (Consumer Durables) বলতে যেগুলো আমরা বুঝি, যেমন টিভি, ফ্রিজ, ফার্নিচার। এই সেগমেন্টে তো ফেস্টিভ সিজনে তুলনামূলকভাবে পারচেজ আরও বেশি হয়। তাই, বলতে পারেন উত্‍সবের মরসুমের এই পাঁচটা মাস ভারতীয় অর্থনীতির জিয়নকাঠি। বড় দোকানের মালিক থেকে ফুটপাথের বিক্রেতা। সবাই এ সময়টায় লক্ষ্মীলাভের আশায় থাকেন। তো এবার ফেস্টিভ সিজনে ভারত কত কী কেনাকাটা করবে, কারা কত খরচ করবেন। এ সবের একটা আঁচ আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করি। সমীক্ষা বলছে শুধুমাত্র শহরাঞ্চলে এ বছর উত্‍সবের মরসুমে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সংস্থা লোকাল সার্কলের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে সারা দেশে প্রায় সাড়ে তিনশো শহরের পঞ্চাশ হাজার পরিবারের ওপর এই সমীক্ষা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি দুটো পরিবারের মধ্যে একটা পরিবার বলছে যে ফেস্টিভ সিজনে তারা ১০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করবে। মানে ৫০ শতাংশ মানুষের গড়ে উত্‍সবের বাজেট ১০ হাজার টাকা।

আর্থিকভাবে একদম ওপরের দিকে থাকা ৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তাদের উত্‍সবের বাজেট ৫০ হাজার টাকা। সমীক্ষায় দুটো ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে এসেছে। জিনিসের দাম আর জিনিসের কোয়ালিটি। এই দুটো বিষয় পরখ করেই অধিকাংশ মানুষ জিনিস কেনেন। মানে, প্যাকেজিংয়ের চাকচিক্যে গড়পড়তা ভারতীয়দের ভোলানো যাবে না। সুন্দর মোড়কে বেশি দামে খারাপ জিনিস গছিয়ে দেওয়া যাবে না। আর সত্তর শতাংশ মানুষ বলেছেন, অনলাইনে নয়। এবার উত্‍সবের মরসুমে তাঁরা দোকানে গিয়েই যা কেনার কিনবেন। কোভিডের সময় থেকেই ই-কমার্স দ্রুতগতিতে বাড়ছিল। দোকান ব্যাপারটাই উঠে যাবে কি না, এ নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। সেখানে আবার পুরনো ট্রেন্ডে ফেরার ইঙ্গিত ধরা পড়ছে। মনে করা হচ্ছে যে মানুষ আবার আগের মতোই বাজারে যেতে চাইছেন। রাস্তায় বেরিয়ে পুজো শপিংয়ের যে সার্বিক আনন্দ, যার মধ্যে জামা কিনে বেরিয়ে ফুচকা খাওয়াটাও আছে। সেটাই আবার ক্রেতারা ফিরে পেতে চাইছেন। বাস্তবে কী হল সেটা আমরা ফেস্টিভ সিজন শেষ হলে যেসব হিসেব আসবে তা থেকে বুঝতে পারব। তবে তার আগে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথাও আপনাদের বলে রাখি। উত্সবের মরসুম যদি ভারতীয় অর্থনীতির জিয়নকাঠি হয়, তাহলে তা আছে মধ্যবিত্তর হাতে। ওই যে একটু আগে বললাম। অঙ্কটা কষে দেখুন। ধরুন ১০০ জন আছেন, মানে ৫ জন ধনী গড়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ করবেন। ব্যবসা হবে আড়াই লাখ টাকার। আর ৫০ জন মধ্যবিত্ত যখন গড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ করবেন, তখন কেনাকাটার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৫ লাখ টাকায়।

 

দুর্গাপুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। বাঙালিরা উত্‍সবের মরসুম বলতে এই সময়টাকেই বোঝে। তবে, সারা দেশের নিরিখে উত্‍সবের মরসুম আরও বেশি লম্বা। আমাদের দেশে অগস্টের মাঝামাঝি রাখিবন্ধন দিয়ে ফেস্টিভ সিজন শুরু হয়, তারপর গণেশ চতুর্থী। দক্ষিণ ভারতে ওনাম। নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দশেরা, দিওয়ালি। মাঝে একটু বিরতি দিয়ে ক্রিসমাস ও নিউইয়ার সেলিব্রেশনের মাধ্যমে শেষ হয় উত্‍সবের মরসুম। রোজকার জিনিসপত্র বাদ দিয়ে বাকি সবকিছুর সিংহভাগ কেনাকাটা হয় এই ৫ মাসে। কনজিউমার ডিউরেবলস (Consumer Durables) বলতে যেগুলো আমরা বুঝি, যেমন টিভি, ফ্রিজ, ফার্নিচার। এই সেগমেন্টে তো ফেস্টিভ সিজনে তুলনামূলকভাবে পারচেজ আরও বেশি হয়। তাই, বলতে পারেন উত্‍সবের মরসুমের এই পাঁচটা মাস ভারতীয় অর্থনীতির জিয়নকাঠি। বড় দোকানের মালিক থেকে ফুটপাথের বিক্রেতা। সবাই এ সময়টায় লক্ষ্মীলাভের আশায় থাকেন। তো এবার ফেস্টিভ সিজনে ভারত কত কী কেনাকাটা করবে, কারা কত খরচ করবেন। এ সবের একটা আঁচ আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করি। সমীক্ষা বলছে শুধুমাত্র শহরাঞ্চলে এ বছর উত্‍সবের মরসুমে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সংস্থা লোকাল সার্কলের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে সারা দেশে প্রায় সাড়ে তিনশো শহরের পঞ্চাশ হাজার পরিবারের ওপর এই সমীক্ষা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি দুটো পরিবারের মধ্যে একটা পরিবার বলছে যে ফেস্টিভ সিজনে তারা ১০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করবে। মানে ৫০ শতাংশ মানুষের গড়ে উত্‍সবের বাজেট ১০ হাজার টাকা।

আর্থিকভাবে একদম ওপরের দিকে থাকা ৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তাদের উত্‍সবের বাজেট ৫০ হাজার টাকা। সমীক্ষায় দুটো ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে এসেছে। জিনিসের দাম আর জিনিসের কোয়ালিটি। এই দুটো বিষয় পরখ করেই অধিকাংশ মানুষ জিনিস কেনেন। মানে, প্যাকেজিংয়ের চাকচিক্যে গড়পড়তা ভারতীয়দের ভোলানো যাবে না। সুন্দর মোড়কে বেশি দামে খারাপ জিনিস গছিয়ে দেওয়া যাবে না। আর সত্তর শতাংশ মানুষ বলেছেন, অনলাইনে নয়। এবার উত্‍সবের মরসুমে তাঁরা দোকানে গিয়েই যা কেনার কিনবেন। কোভিডের সময় থেকেই ই-কমার্স দ্রুতগতিতে বাড়ছিল। দোকান ব্যাপারটাই উঠে যাবে কি না, এ নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। সেখানে আবার পুরনো ট্রেন্ডে ফেরার ইঙ্গিত ধরা পড়ছে। মনে করা হচ্ছে যে মানুষ আবার আগের মতোই বাজারে যেতে চাইছেন। রাস্তায় বেরিয়ে পুজো শপিংয়ের যে সার্বিক আনন্দ, যার মধ্যে জামা কিনে বেরিয়ে ফুচকা খাওয়াটাও আছে। সেটাই আবার ক্রেতারা ফিরে পেতে চাইছেন। বাস্তবে কী হল সেটা আমরা ফেস্টিভ সিজন শেষ হলে যেসব হিসেব আসবে তা থেকে বুঝতে পারব। তবে তার আগে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথাও আপনাদের বলে রাখি। উত্সবের মরসুম যদি ভারতীয় অর্থনীতির জিয়নকাঠি হয়, তাহলে তা আছে মধ্যবিত্তর হাতে। ওই যে একটু আগে বললাম। অঙ্কটা কষে দেখুন। ধরুন ১০০ জন আছেন, মানে ৫ জন ধনী গড়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ করবেন। ব্যবসা হবে আড়াই লাখ টাকার। আর ৫০ জন মধ্যবিত্ত যখন গড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ করবেন, তখন কেনাকাটার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৫ লাখ টাকায়।

 

Next Video