Window Shopping, Ghost Mall Facts: শপিং মল টু ঘোস্ট মল, বিষয়টা কী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

May 10, 2024 | 9:12 PM

Ghost Mall: ক্রেতারা হয়ত শপিং মলে এমন সব পরিষেবা চাইছেন, যা ছোট শপিং মলের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তা হলে? বাকিরা কী করবে? কলকাতার সাউথ সিটি, মুম্বইয়ের জিও মার্কেট বা দিল্লির ওয়েস্ট উইন্ডের মল বড় শপিং সেন্টার ছাড়া বাকি সব শপিং মল কী অচিরেই গুটিয়ে যাবে? শপিং মলে কেনাকাটা, উইন্ডো শপিং, হ্যাং আউট - সেই সব ছবিও কী বদলে যাবে? এখনই হয়তো এর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। শপিং মল বললেই যে ঝাঁ-চকচকে ছবিটা আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, তার একটা অন্য ছবিও কিন্তু আছে, প্রবলভাবেই আছে। 

Follow Us

শপিং মল টু ঘোস্ট মল। দেশের এক প্রথম সারির বাজার উপদেষ্টা সংস্থার রিপোর্ট হঠাত্‍ করে চোখে পড়েছিল। চোখটা না সরিয়ে নিতে পারলাম না। দুটো কারণ। প্রথমত, রিপোর্টটা ভারতকে নিয়ে। দ্বিতীয়ত, শপি মল জিনিসটা বহুদিন ধরেই আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। রবিবার বিকেলে সময় কাটানো বলুন বা টুকিটাকি জিনিসপত্র কেনাকাটা করাই বলুন – শপিং মল আমাদের জীবনধারণের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। সেখানে ঘোস্ট মল বিষয়টা কী? এই ঘোস্ট মল আসলে শপিং মলের উলটো দিকে, অন্য এক পৃথিবী। ঝাঁ-চকচকে, ভিড়ে ঠাসা শপিং মলের বাইরে থাকা এক পৃথিবী। সোজা কথায়, যে সব শপিং মলে অন্তত ৪০ শতাংশ দোকান বিক্রি না হয়ে পড়ে আছে, যেখানে ক্রেতাদের আনাগোণা ক্রমশ কমছে। বা যে সব শপিং মল খোলার পরও বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেগুলোকেই ঘোস্ট মল বলা যেতে পারে। মুশকিল হলো, এই ঘোস্ট মলই এই মুহূর্তে শপিং মলের সবচেয়ে বড় থ্রেট হিসাবে উঠে আসছে। আপনাদের অনেকটা তথ্য দিলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে। শহর কলকাতায় প্রতি ৪টে শপিং মলের একটিই ঘোস্ট মল। আর এরাজ্যের টিয়ার টু ও টিয়ার থ্রি শহরেও প্রতি ৩টে শপিং মলের ১টি হয় বন্ধ হয়েছে নয়তো বন্ধ হওয়ার মুখে। ছোট শপিং মলগুলিতে ক্রেতারা ঢুকছেনই না। আমি যে রিপোর্টের কথা বলছি, সেখানে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটা আরও আশঙ্কাজনক। এই মুহূর্তে দেশের কমবেশি ৪২ শতাংশ শপিং মলই ঘোস্ট মলে পরিণত হয়েছে। অর্থাত্‍ এইসব শপিং মলে স্রেফ ফাঁকা, বা খালি পড়ে রয়েছে। যাঁরা এইসব শপিং মলে দোকান কিনেছিলেন, তাঁরা পড়েছেন অথৈ জলে। যাঁরা টাকা খরচ করে শপিং মল তৈরি করেছেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ। না টাকা ফেরত পাচ্ছেন, না ব্যবসা শুরুর আশা দেখছেন।

গোটা দেশে কমবেশি সাড়ে সাত হাজার শপিং মলের এই অবস্থা। এর অন্য দিকটাও ভুলে গেলে চলবে না। এই শপিং মলগুলিতে লক্ষাধিক চাকরির সুযোগ তৈরি হত। মলগুলি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় সেই সম্ভাবনাতেও দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে। কেন এমনটা হচ্ছে? দেশে ভোগ্যপণ্য থেকে জামাকাপড় – কোনওকিছুরই কেনাকানা তো কমছে না। তা হলে একের পর এক শপিং মল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন? রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার এক কর্তা আমাকে বললে, ছোট ও মাঝারি শপিং মলের দিন হয়তো খুব দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। মানুষ যখন শপিং মলে কেনাকাটা করতে যাচ্ছে, তখন বড় ও নামী শপিং মলকেই বেছে নিচ্ছে। নন- মেট্রো শহর থেকেও মানুষ বড় শপিং মলে আসছেন। কিন্তু নিজেদের শহরের শপিং মলে ঢুকছেন না। ক্রেতারা হয়ত শপিং মলে এমন সব পরিষেবা চাইছেন, যা ছোট শপিং মলের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তা হলে? বাকিরা কী করবে? কলকাতার সাউথ সিটি, মুম্বইয়ের জিও মার্কেট বা দিল্লির ওয়েস্ট উইন্ডের মল বড় শপিং সেন্টার ছাড়া বাকি সব শপিং মল কী অচিরেই গুটিয়ে যাবে? শপিং মলে কেনাকাটা, উইন্ডো শপিং, হ্যাং আউট – সেই সব ছবিও কী বদলে যাবে? এখনই হয়তো এর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। শপিং মল বললেই যে ঝাঁ-চকচকে ছবিটা আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, তার একটা অন্য ছবিও কিন্তু আছে, প্রবলভাবেই আছে।

শপিং মল টু ঘোস্ট মল। দেশের এক প্রথম সারির বাজার উপদেষ্টা সংস্থার রিপোর্ট হঠাত্‍ করে চোখে পড়েছিল। চোখটা না সরিয়ে নিতে পারলাম না। দুটো কারণ। প্রথমত, রিপোর্টটা ভারতকে নিয়ে। দ্বিতীয়ত, শপি মল জিনিসটা বহুদিন ধরেই আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। রবিবার বিকেলে সময় কাটানো বলুন বা টুকিটাকি জিনিসপত্র কেনাকাটা করাই বলুন – শপিং মল আমাদের জীবনধারণের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। সেখানে ঘোস্ট মল বিষয়টা কী? এই ঘোস্ট মল আসলে শপিং মলের উলটো দিকে, অন্য এক পৃথিবী। ঝাঁ-চকচকে, ভিড়ে ঠাসা শপিং মলের বাইরে থাকা এক পৃথিবী। সোজা কথায়, যে সব শপিং মলে অন্তত ৪০ শতাংশ দোকান বিক্রি না হয়ে পড়ে আছে, যেখানে ক্রেতাদের আনাগোণা ক্রমশ কমছে। বা যে সব শপিং মল খোলার পরও বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেগুলোকেই ঘোস্ট মল বলা যেতে পারে। মুশকিল হলো, এই ঘোস্ট মলই এই মুহূর্তে শপিং মলের সবচেয়ে বড় থ্রেট হিসাবে উঠে আসছে। আপনাদের অনেকটা তথ্য দিলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে। শহর কলকাতায় প্রতি ৪টে শপিং মলের একটিই ঘোস্ট মল। আর এরাজ্যের টিয়ার টু ও টিয়ার থ্রি শহরেও প্রতি ৩টে শপিং মলের ১টি হয় বন্ধ হয়েছে নয়তো বন্ধ হওয়ার মুখে। ছোট শপিং মলগুলিতে ক্রেতারা ঢুকছেনই না। আমি যে রিপোর্টের কথা বলছি, সেখানে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটা আরও আশঙ্কাজনক। এই মুহূর্তে দেশের কমবেশি ৪২ শতাংশ শপিং মলই ঘোস্ট মলে পরিণত হয়েছে। অর্থাত্‍ এইসব শপিং মলে স্রেফ ফাঁকা, বা খালি পড়ে রয়েছে। যাঁরা এইসব শপিং মলে দোকান কিনেছিলেন, তাঁরা পড়েছেন অথৈ জলে। যাঁরা টাকা খরচ করে শপিং মল তৈরি করেছেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ। না টাকা ফেরত পাচ্ছেন, না ব্যবসা শুরুর আশা দেখছেন।

গোটা দেশে কমবেশি সাড়ে সাত হাজার শপিং মলের এই অবস্থা। এর অন্য দিকটাও ভুলে গেলে চলবে না। এই শপিং মলগুলিতে লক্ষাধিক চাকরির সুযোগ তৈরি হত। মলগুলি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় সেই সম্ভাবনাতেও দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে। কেন এমনটা হচ্ছে? দেশে ভোগ্যপণ্য থেকে জামাকাপড় – কোনওকিছুরই কেনাকানা তো কমছে না। তা হলে একের পর এক শপিং মল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন? রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার এক কর্তা আমাকে বললে, ছোট ও মাঝারি শপিং মলের দিন হয়তো খুব দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। মানুষ যখন শপিং মলে কেনাকাটা করতে যাচ্ছে, তখন বড় ও নামী শপিং মলকেই বেছে নিচ্ছে। নন- মেট্রো শহর থেকেও মানুষ বড় শপিং মলে আসছেন। কিন্তু নিজেদের শহরের শপিং মলে ঢুকছেন না। ক্রেতারা হয়ত শপিং মলে এমন সব পরিষেবা চাইছেন, যা ছোট শপিং মলের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তা হলে? বাকিরা কী করবে? কলকাতার সাউথ সিটি, মুম্বইয়ের জিও মার্কেট বা দিল্লির ওয়েস্ট উইন্ডের মল বড় শপিং সেন্টার ছাড়া বাকি সব শপিং মল কী অচিরেই গুটিয়ে যাবে? শপিং মলে কেনাকাটা, উইন্ডো শপিং, হ্যাং আউট – সেই সব ছবিও কী বদলে যাবে? এখনই হয়তো এর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। শপিং মল বললেই যে ঝাঁ-চকচকে ছবিটা আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, তার একটা অন্য ছবিও কিন্তু আছে, প্রবলভাবেই আছে।

Next Video