Paris Olympics 2024: এবার ঘুম পাড়াবে স্লিপ অ্যাডভাইজাররা, কীভাবে―জানুন বিস্তারিত

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

Jun 20, 2024 | 8:05 PM

Paris Olympics 2024: ভাল ঘুম হলে চোট-আঘাতের সম্ভাবনাও নাকি ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকে। দুনিয়ায় বিভিন্ন গবেষণায় বারবার সেটা প্রমাণিত হয়েছে। দেখুন খেলাধুলোর জগতটা খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপেও স্লিপ অ্যাডভাইজার সঙ্গে রেখেছিল অনেক টিম। বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো এখন ইন্টিমেসি এক্সপার্টও রাখছে।

Follow Us

বয়স যত বাড়ে, ঘুম ততই পাতলা হয়। টেনশন, কাজের চাপ, সংসারের দায়িত্ব। এসব যত বাড়ে, ততই যেন ঘুম উধাও হয়। সমস্যা শুধু আমার-আপনার নয়। দুনিয়ার তাবড় ফুটবলার, অ্যাথলিটদেরও একই সমস্যা। ঘুমের সমস্যা। তাই এইবার প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় খেলোয়াড়দের সময়ে ঘুম পাড়াতে থাকছেন স্লিপ অ্যাডভাইজার বা ঘুম বিশেষজ্ঞ। কী কাজ এঁদের? অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথা বলে স্লিপিং চার্ট তৈরি করা। চার্টে থাকবে কোন খেলোয়াড় কতক্ষণ ঘুমোবেন? কী ভাবে ঘুমোবেন? কী করলে ঘুমের ব্যাঘাত হবে না? সবই এখানে বলা থাকবে। গতবার অলিম্পিকে ফাইনালের আগের রাতে টেনশনে ঘুমাতে পারেননি নীরজ চোপড়া। অভিনব বিন্দ্রারও একই অবস্থা হয়েছিল। ওঁরা না হয় অলিম্পিকে গোল্ড উইনার। তবে মিলখা সিংয়ের কথা যদি বলি। রোম অলিম্পিকে চতুর্থ হয়েছিলেন তিনি। দ্য ফ্লাইং শিখ আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ফাইনালের আগের দিন একদণ্ডও শান্ত হয়ে বসতে পারিনি। গোটা দেশ আমার দিকে তাকিয়েছিল। বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করেই রাতটা কেটে গিয়েছিল। আমার উপর প্রচন্ড প্রেশার ছিল। সেটা থেকে বেরনোর কোনও উপায় আমার জানা ছিল না। এখনকার অ্যাথলিটরা সেই তুলনায় ভাগ্যবান। এখন সব টিমের সঙ্গেই থাকেন মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ। এবার বিভিন্ন দেশ স্লিপ অ্যাডভাইজারদেরও সাহায্য নিচ্ছে। ভারতের স্লিপ অ্যাডভাইজিং টিমও রীতিমতো আঁটঘাঁট বেঁধেই প্যারিস যাচ্ছে। তারা মূলত তিনটে কাজ করবে। এক প্রতিযোগীদের প্রয়োজনমতো স্লিপিং পড ও স্লিপিং কিট তৈরি করবে। দুই, ইভেন্টের কথা মাথায় রেখে স্লিপিং প্রেসক্রিপশন তৈরি করবে। তিন, প্রতিযোগীদের টেনশন ফ্রি রাখার ব্যবস্থা করবে। অলিম্পিকের গেমস ভিলেজে কয়েক হাজার অ্যাথলিট একসঙ্গে থাকেন। ঘরগুলো গায়ে গায়ে হয়। ফলে, এই গেমস ভিলেজে ভাল করে ঘুমোনো যায় না বলে প্রতিবারই অভিযোগ জমা পড়ে অলিম্পিক কমিটির কাছে। তাই এবার অলিম্পিকে টিমের সঙ্গে স্লিপ অ্যাডভাইজার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এ ক্ষেত্রে পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মণিকা শর্মার বেশ নামডাক আছে। তিনিই প্যারিসে ভারতীয় দলের প্রধান স্লিপ অ্যাডভাইজার। ঘুমের সঙ্গে মেডেল জয়ের আদৌ কি কোনও সম্পর্ক আছে? মণিকা তো বলছেন একশোবার আছে। ইভেন্টের আগে ঠিকমতো ঘুম হলে অ্যাথলিটের নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চান্স ৯৫ পারসেন্ট। আর সেটা না হলে, পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নামতে পারে। ভাল ঘুম হলে চোট-আঘাতের সম্ভাবনাও নাকি ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকে। দুনিয়ায় বিভিন্ন গবেষণায় বারবার সেটা প্রমাণিত হয়েছে। দেখুন খেলাধুলোর জগতটা খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপেও স্লিপ অ্যাডভাইজার সঙ্গে রেখেছিল অনেক টিম। বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো এখন ইন্টিমেসি এক্সপার্টও রাখছে। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়াই এঁদের কাজ। ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাকটর, ফিজিওদের ভূমিকাও আর আগের মতো নেই। ফুটবল, ক্রিকেট-সহ সব খেলাতেই এখন আলাদা আলাদা ভাবে বায়োমেকানিক্সদের নিয়োগ করা হচ্ছে। যে কোনও খেলা চলার সময় শরীরের কোন অংশ কীভাবে রাখতে হবে, কীভাবে পা ফেলতে হবে। হাতের ব্যবহার করতে হবে, সেসবও ঠিক করে দিচ্ছেন এই এক্সপার্টরা।

বয়স যত বাড়ে, ঘুম ততই পাতলা হয়। টেনশন, কাজের চাপ, সংসারের দায়িত্ব। এসব যত বাড়ে, ততই যেন ঘুম উধাও হয়। সমস্যা শুধু আমার-আপনার নয়। দুনিয়ার তাবড় ফুটবলার, অ্যাথলিটদেরও একই সমস্যা। ঘুমের সমস্যা। তাই এইবার প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় খেলোয়াড়দের সময়ে ঘুম পাড়াতে থাকছেন স্লিপ অ্যাডভাইজার বা ঘুম বিশেষজ্ঞ। কী কাজ এঁদের? অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথা বলে স্লিপিং চার্ট তৈরি করা। চার্টে থাকবে কোন খেলোয়াড় কতক্ষণ ঘুমোবেন? কী ভাবে ঘুমোবেন? কী করলে ঘুমের ব্যাঘাত হবে না? সবই এখানে বলা থাকবে। গতবার অলিম্পিকে ফাইনালের আগের রাতে টেনশনে ঘুমাতে পারেননি নীরজ চোপড়া। অভিনব বিন্দ্রারও একই অবস্থা হয়েছিল। ওঁরা না হয় অলিম্পিকে গোল্ড উইনার। তবে মিলখা সিংয়ের কথা যদি বলি। রোম অলিম্পিকে চতুর্থ হয়েছিলেন তিনি। দ্য ফ্লাইং শিখ আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ফাইনালের আগের দিন একদণ্ডও শান্ত হয়ে বসতে পারিনি। গোটা দেশ আমার দিকে তাকিয়েছিল। বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করেই রাতটা কেটে গিয়েছিল। আমার উপর প্রচন্ড প্রেশার ছিল। সেটা থেকে বেরনোর কোনও উপায় আমার জানা ছিল না। এখনকার অ্যাথলিটরা সেই তুলনায় ভাগ্যবান। এখন সব টিমের সঙ্গেই থাকেন মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ। এবার বিভিন্ন দেশ স্লিপ অ্যাডভাইজারদেরও সাহায্য নিচ্ছে। ভারতের স্লিপ অ্যাডভাইজিং টিমও রীতিমতো আঁটঘাঁট বেঁধেই প্যারিস যাচ্ছে। তারা মূলত তিনটে কাজ করবে। এক প্রতিযোগীদের প্রয়োজনমতো স্লিপিং পড ও স্লিপিং কিট তৈরি করবে। দুই, ইভেন্টের কথা মাথায় রেখে স্লিপিং প্রেসক্রিপশন তৈরি করবে। তিন, প্রতিযোগীদের টেনশন ফ্রি রাখার ব্যবস্থা করবে। অলিম্পিকের গেমস ভিলেজে কয়েক হাজার অ্যাথলিট একসঙ্গে থাকেন। ঘরগুলো গায়ে গায়ে হয়। ফলে, এই গেমস ভিলেজে ভাল করে ঘুমোনো যায় না বলে প্রতিবারই অভিযোগ জমা পড়ে অলিম্পিক কমিটির কাছে। তাই এবার অলিম্পিকে টিমের সঙ্গে স্লিপ অ্যাডভাইজার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এ ক্ষেত্রে পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মণিকা শর্মার বেশ নামডাক আছে। তিনিই প্যারিসে ভারতীয় দলের প্রধান স্লিপ অ্যাডভাইজার। ঘুমের সঙ্গে মেডেল জয়ের আদৌ কি কোনও সম্পর্ক আছে? মণিকা তো বলছেন একশোবার আছে। ইভেন্টের আগে ঠিকমতো ঘুম হলে অ্যাথলিটের নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চান্স ৯৫ পারসেন্ট। আর সেটা না হলে, পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নামতে পারে। ভাল ঘুম হলে চোট-আঘাতের সম্ভাবনাও নাকি ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকে। দুনিয়ায় বিভিন্ন গবেষণায় বারবার সেটা প্রমাণিত হয়েছে। দেখুন খেলাধুলোর জগতটা খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপেও স্লিপ অ্যাডভাইজার সঙ্গে রেখেছিল অনেক টিম। বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো এখন ইন্টিমেসি এক্সপার্টও রাখছে। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়াই এঁদের কাজ। ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাকটর, ফিজিওদের ভূমিকাও আর আগের মতো নেই। ফুটবল, ক্রিকেট-সহ সব খেলাতেই এখন আলাদা আলাদা ভাবে বায়োমেকানিক্সদের নিয়োগ করা হচ্ছে। যে কোনও খেলা চলার সময় শরীরের কোন অংশ কীভাবে রাখতে হবে, কীভাবে পা ফেলতে হবে। হাতের ব্যবহার করতে হবে, সেসবও ঠিক করে দিচ্ছেন এই এক্সপার্টরা।

Next Video