Coromandel Express Accident: করমন্ডলে দুর্ঘটনায় মৃত তরুণ রায়ের দেহ পৌঁছল ময়নাগুড়ির গ্রামের বাড়িতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Jun 06, 2023 | 9:25 PM

করমন্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় নিহত জলপাইগুড়ি জেলার মাধবডাঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৃত যুবক তরুণ রায়ের দেহ পৌছালো তাঁর ময়নাগুড়ির গ্রামের বাড়িতে।

কর্মসংস্থান থাকলে তরুনকে এভাবে ভিন রাজ্যে যেতে হত না।তরুনের নিথর দেহ এলাকায় পৌছতেই স্থানীয় যুবকদের মুখে একথাই শোনা গেল

করমন্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় নিহত জলপাইগুড়ি জেলার মাধবডাঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৃত যুবক তরুণ রায়ের দেহ পৌছালো তাঁর ময়নাগুড়ির গ্রামের বাড়িতে। মঙ্গলবার সকালে পৌছায় দেহ।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় মৃতদেহ। দেহ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার সহ গ্রামের মানুষজন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তরুণ প্রায় সাত বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে গাড়ি চালাতেন। কর্ণাটক, কেরলে কাজ করার পর এবার তামিলনাড়ুতে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। আর সেখানে ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে কাজে যোগ দিতে যাওযার পথেই
উড়িষ্যার বালেশ্বরে এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় বছর ত্রিশের তরুণ রায়ের।

করমন্ডল এক্সপ্রেসে তরুনের সাথে ছিলেন শৈলেন রায়। তাঁরা একই সাথে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। শৈলেন গুরুতর আহত। কিন্তু তরুনের মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার সহ ময়নাগুড়ির গ্রামের মানুষ। পুজোর সময় বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তাঁর আগেই নিহত তরুণ বাড়ি ফিরলো।

ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মা সুমিত্রা রায়। তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। গোটা গ্রামে শোকের ছায়া। উত্তরবঙ্গে করমন্ডল ভয় এখন ভাবচ্ছে শ্রমিকদের।

তরুনের কাকা মোহন রায় বর্মন কাঁদতে কাঁদতে বলেন তরুন একাই ছিলো উপার্যনকারী। ড্রাইভারি করে বড় বোনকে বিয়ে দিয়েছে। এবার ছোট বোনকে বিয়ে দিতে হবে। তাই ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলো। পথে এই মর্মান্তিক ঘটনা।

স্থানীয় যুবক শশাঙ্ক বর্মন এবং ভুপাল ব্যাধ বলছেন এখানে কাজ করলে ৩০০-৪০০ টাকা দিন হাজিরায় কাজ করতে হয়।এখানে বড় কলকারখানা নেই।বড় কাজ নেই তাই ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়।যদি এখানে কাজ থাকতো তবে তরুনকে এভাবে মরতে হোতোনা।