মাদারিহাট: লোকসভা নির্বাচনে এবার টিকিট পাননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। তাঁর আসনে লড়ে জয়ী হন মাদারিহাটের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। পরপর দু’বার ওই আসন থেকে জয়ী হয় বিজেপি। এমনকী প্রার্থী বদল হলেও লোকসভা নির্বাচনেও আলিপুরদুয়ারে জিততে অসুবিধা হয়নি গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু উপ নির্বাচনেই জোর ধাক্কা। ফুটল ঘাসফুল। বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পথে তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টপ্পো। আর সেই ফলাফল সামনে আসার পরই বিস্ফোরক দাবি করলেন জন বার্লা।
বার্লার স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁকে গুরুত্ব না দিয়ে ভোট করানোয় এই অবস্থা। ২০২৬-এও এর কোনও পরিবর্তন হবে না, এমনটাই মনে করছেন তিনি। ২০১১ সালের পরে যেখানে তৃণমূল জয়ী হয়নি কখনও, সেখানে কীভাবে বিপুল ভোট এল শাসক শিবিরে?
জন বার্লা বলেন, “জেলা সভাপতি আর রাজ্য সভাপতির জন্য এটা হয়েছে। ওরা কারও সঙ্গে কথা বলে না। একা একা সিদ্ধান্ত নেয় না। দিল্লিতে বসে, কলকাতায় বসে ভোট করায়।” জন বার্লার গলায় আক্ষেপের সুর স্পষ্ট। তাঁর সঙ্গে কোনও কথাই বলা হয়নি বলে জানান তিনি।
প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “আমাদের পাত্তা দেয় না। সংগঠনকে বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে এমনটাই হবে।” তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলেক ভোট দাঁড়িয়ে আছে চা বাগানের ওপর। আর সেই চা বাগানের খোলনলচে জানেন তিনি। সেই চা বাগানকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি উপ নির্বাচনের ঠিক আগেই জন বার্লার তৃণমূল যোগ নিয়ে জল্পনা বাড়ে। কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র ও রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ জন বার্লা। শুধু তাই নয়, তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর সঙ্গে খোশমেজাজে কথা বলতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
এদিন রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘নিউট্রাল আছি। যারা আমাকে গুরুত্ব দেবে না, তাদের জন্য কেন কাজ করব।’ সিদ্ধান্ত পরে নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।