Medical College: ‘আমরা এই নিয়ে কোনও রিপোর্ট দিচ্ছি না’, যেদিকে তাকিয়ে সকলে, কী বলল তদন্ত কমিটি?

Prasenjit Chowdhury | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 09, 2024 | 10:29 AM

Medical College: ছাত্র বিক্ষোভ সামাল দিতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছিলেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। সেই রিপোর্ট দিল তদন্ত কমিটি। কমিটির মাথায় ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল তথা সুপার সঞ্জয় মল্লিক।

Medical College: আমরা এই নিয়ে কোনও রিপোর্ট দিচ্ছি না, যেদিকে তাকিয়ে সকলে, কী বলল তদন্ত কমিটি?
বাঁদিকে, তদন্ত কমিটির প্রধান, বাকিরা প্রাক্তনী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

 শিলিগুড়ি:  তদন্ত কমিটির এক্তিয়ার নেই, তাই সাদা কালি দিয়ে মুছে নম্বর বৃদ্ধি নিয়ে তদন্ত করা যায়নি। জানিয়ে দিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটি। তবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ‘থ্রেট কালচার’ আছে বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ছাত্র বিক্ষোভ সামাল দিতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছিলেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। সেই রিপোর্ট দিল তদন্ত কমিটি। কমিটির মাথায় ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল তথা সুপার সঞ্জয় মল্লিক।

ছাত্র বিক্ষোভে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ উঠেছিল। সাদা খাতায় কীভাবে নম্বর বৃদ্ধি তা নিয়ে সরব হন বিভাগীয় প্রধানরাও। ছাত্রদের চাপে পদত্যাগ করেন ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ ওঠে।

‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন হয়। কমিটির প্রধান এমএসভিপি সঞ্জয় মল্লিক বলেন, “আজ রিপোর্ট জমা দিচ্ছি। অভিযুক্তরা কেউ কেউ থ্রেট কালচারের কথা স্বীকার করেছেন। কেউ আবার মানতে চাননি। কেউ কেউ প্রভাবশালীদের নাম বলে জানিয়েছেন ওদের নির্দেশেই এসব হচ্ছিল। আমরা সবটা জানিয়েই রিপোর্ট দিচ্ছি।”

কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, খাতায় নম্বর বৃদ্ধির অভিযোগ তুলছেন অধ্যাপকেরা। তাঁর কথায়, “ডিন ও অধ্যক্ষ যেখানে অভিযুক্ত সেখানে আমরা কীভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করব? আমরা অধঃস্তন। এই তদন্ত করতে হলে বৃহত্তর আঙ্গিকে হোক। মেডিক্যালের ইউনিভার্সিটি চাইলে তদন্ত করুক। আমরা এই বিষয় নিয়ে কোনও রিপোর্ট জমা দিচ্ছি না।”

কমিটির প্রধান বলেন, “ছাত্রদের মধ্যে যে গ্রিভেন্স ছিল নানা ধরনের, কিন্তু একটা পরীক্ষার ক্ষেত্রে নম্বর দেওয়ার পদ্ধতির মধ্যে তো কেবল ছাত্ররাই ইনভলভ নয়, তার সঙ্গে অ্যাকাডেমিক সেশন, হল ইনচার্জ, পরীক্ষক-সবার দায়িত্ব থাকে। শেষ যে রেজাল্ট বেরোচ্ছে, কোন সার্কেলে গিয়ে লিক হচ্ছে, সেটা ধরা কঠিন। নম্বর নিয়ে কোনও তদন্ত করিনি। আমরা থ্রেট কালচার নিয়ে তদন্ত করেছি।”

মেডিকেলের প্রাক্তনী ড. ভাস্কর রায় অবশ্য দাবি, “লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। আমরা হৃদয় থেকে এসে দাঁড়িয়েছি ওদের পাশে। টুকে পাশ করেছেন ডাক্তাররা। জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন তদন্ত করে দেখুক। তিলোত্তমা কাণ্ডের পর আমরা দেখছি ডাক্তারি নিয়ে নানান দুর্নীতি। সেখানে উত্তরবঙ্গ লবির কথা চলে আসছে। আমরা পিটিশন করি।”

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article