TMC Leader Arrest: পোশাকি নাম চুটকি, তাঁর ভয়ে নাকি ‘বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়’, গ্রেফতার হওয়া এই TMC নেতার ‘কীর্তি’ জানেন?

Prasenjit Chowdhury | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 30, 2024 | 1:56 PM

Siliguri: তবে চুটকির গ্রেফতারির পর আর কেউ গ্রেফতার হবেন কি না এ নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন দলের অন্য নেতাদের একাংশ। কারণ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই রকম আরও একাধিক তৃণমূল নেতা নাকি রয়েছেন পুলিশের আতসকাচের তলায়।

TMC Leader Arrest: পোশাকি নাম চুটকি, তাঁর ভয়ে নাকি বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়, গ্রেফতার হওয়া এই TMC নেতার কীর্তি জানেন?
মহম্মদ আহিদ
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

শিলিগুড়ি: মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সরকারি জমি যাঁরা দখল করেছেন তাঁরা যে দলেরই হোন না কেন রেয়াত করা হবে না। সেই মতো ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার সেই তালিকায় জুড়েছে আরও একজনের নাম। তিনি মহম্মদ আহিদ আহিদ ওরফে চুটকি। ওই এলাকার প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ছিলেন তিনি। গতকাল গ্রেফতারির পর আজ তাঁকে তোলা হয় আদালতে। জানেন কে এই চুটকি? কী তাঁর পরিচয়? এলাকায় কানা পাতলে শোনা যায়, তাঁর ভয়ে নাকি ‘বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়’। আজ সেই তৃণমূল নেতাই এখন পুলিশের জালে।

কে এই চুটকি?

ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির দাপুটে নেতা চুটকির উত্থান অবশ্য সিপিএমের হাত ধরে। তবে ২০০৮ সালে বামফ্রন্ট থেকে টিকিট পাননি তিনি। তাই নির্দলে দাঁড়ান। এরপর এলাকায় জিতে যোগ দেন তৃণমূলে। রাজ্যে বাম শাসন শেষ হওয়ার পর শ্রমিকের জোগানদার থেকে শাসকের ছত্রছায়ায় এলাকায় জমির কারবারি হয়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক হন চুটকি। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট নিয়ে দলের অন্দরে গোলমাল হয়। এরপর ফুলবাড়ি অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন চুটকি।

কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে?

ডাবগ্রাম ও ফুলবাড়িতে একাধীক শিল্পতালুক এলাকা সংলগ্ন সরকারি জমি জবরদখল ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শিলিগুড়িতে মেয়র গৌতম দেব যে ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, সেই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল পুলিশ চুটকিকে গ্রেফতার করে।

তবে চুটকির গ্রেফতারির পর আর কেউ গ্রেফতার হবেন কি না এ নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন দলের অন্য নেতাদের একাংশ। কারণ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই রকম আরও একাধিক তৃণমূল নেতা নাকি রয়েছেন পুলিশের আতসকাচের তলায়।

চুটকির গ্রেফতারি নিয়ে জেলা নেতৃত্ব মুখে কুলুপ আটলেও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কিশোর মোহন্ত বলেন, “যে নেতারা আজ মন্তব্য এড়াচ্ছেন তাঁরাই ঢাল হয়ে এতদিন ওদের বাঁচিয়েছেন। কারবার চলেছে। আমি ব্লক সভাপতি হয়ে চুটকিসহ একাধিক ব্যক্তিকে দলের পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। উল্টে আমাকেই হেনস্থা হতে হয়। শিলিগুড়ির নেতাদের চক্রান্তে আমাকেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।” এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও দাবি, শুধু চুটকি নয়, আরও একাধীক নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্যরা খুল্লামখুল্লা এলাকায় জমির কারবার করছেন। শাসক নেতারা সব জানলেও কেন ব্যবস্থা নেন না তা ওনারাই বলতে পারবেন।

বস্তুত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি নিয়ে সরব হতেই দুই শীর্ষ নেতা দেবাশিস প্রামাণিক ও গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

 

 

 

 

 

 

Next Article