Uluberia Murder: ফিমার, কোমরের হাড় নিয়ে গোটা সাতেক হাড় উদ্ধার, ১ বছর পর যুবক খুনের রহস্যভেদ

Supradeep Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 24, 2024 | 5:12 PM

Uluberia Murder: পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পেরেছে, এরপর তাঁরা গনেশের মৃতদেহ দু'দিন বাড়ির পাশের খড়ি বনে ফেলে রাখে। পরে রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ ত্রিপলে মুড়ে এবং শরীরের সঙ্গে মাটি, বালি ও পাথরের বস্তা বেঁধে গাইঘাটার খালের জলে ফেলে দিয়েছিল।

Uluberia Murder: ফিমার, কোমরের হাড় নিয়ে গোটা সাতেক হাড় উদ্ধার, ১ বছর পর যুবক খুনের রহস্যভেদ

Follow Us

উলুবেড়িয়া: টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে বেলেঘাটা থেকে জয়পুরে ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার এক বছর পর সাত-আট হাড় উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় বুধবার জয়পুর থানার পুলিশ গাইঘাটা খাল থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু  জিনিসপত্র। প্রাথমিকভাবে মৃতের পরিবার জিনিসগুলো দেখে শনাক্ত করেছে। উদ্ধার হওয়া হাড় ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ফিমার, কোমরের হাড়-সহ আরও কয়েকটি অঙ্গের মোট সাত-আটটা হাড় তারা উদ্ধার করতে পেরেছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নবনীতা দাস নামে এলাকারই এক যুবতী  ও তাঁর মামা সুকল্যাণ মালিক ও মামি মনিকা মালিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০২৩ সালের ২৩ অগস্ট  খুন হন  উলুবেড়িয়ার যুবক গণেশ দাস। তদন্তে পুুলিশ জানতে পারে, এলাকারই এক যুবতী নবনীতা দাস তাঁর সুকল্যাণ মালিক ও মামি মনিকা মালিক গণেশকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ঘটনার আগের দিন। তাঁকে ভালো খাবার খাইয়ে সন্ধ্যাবেলায় শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ।

পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পেরেছে, এরপর তাঁরা গনেশের মৃতদেহ দু’দিন বাড়ির পাশের খড়ি বনে ফেলে রাখে। পরে রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ ত্রিপলে মুড়ে এবং শরীরের সঙ্গে মাটি, বালি ও পাথরের বস্তা বেঁধে গাইঘাটার খালের জলে ফেলে দিয়েছিল। তবে খালের জলে মৃতদেহ ফেলার সময় ত্রিপলটা তাঁরা খুলে নিয়েছিল। এদিকে ২৩ শে অগস্টের পর থেকে গণেশের খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবারের তরফে জয়পুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি, পরে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ তদন্তে নেমে গত শনিবার নবনীতা দাসকে এবং রবিবার সুকল্যাণ ও তাঁর স্ত্রী মনিকাকে গ্রেফতার করে।

তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ পুরো বিষয়টা জানার পর মঙ্গলবার বিকালে গাইঘাটা খালে তল্লাশি শুরু করে। তবে মঙ্গলবার কিছু পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার সকাল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের লোকেরা ডুবুরি নিয়ে এসে খালের জলে তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, বস্তাগুলি উদ্ধার করা হয় এবং যে অংশ বাধা ছিল শরীরের সঙ্গে সেই অংশের হাড় গুলি শুধু পাওয়া গিয়েছে। বাকি বেশি কিছু পাওয়া যায়নি। কারণ হতে পারে বাকি হাড় জলে ভেসে গিয়েছে। এদিন তল্লাশির সময়ে সুকল্যাণই বস্তাটি চিহ্নিত করে।

Next Article