জলপাইগুড়ি: প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশা। গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের মুখ দেখেনি শহর জলপাইগুড়ি। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছে না মানুষজন। আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে আগামী কয়েকদিনে এই শৈত্য প্রবাহ আরও বাড়বে। এই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও রাস্তার ধারে বা বাসস্ট্যান্ডে কিংবা হাসপাতাল চত্বরে রয়েছেন অনেক সহায়সম্বলহীন মানুষজন। তাঁদের জন্যই এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল জলপাইগুড়ি পৌরসভা।
এইসব সহায়সম্বলহীন কিংবা ভবঘুরে মানুষদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে জলপাইগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে আশ্রয় শেল্টার হোম। ঝাঁ চকচকে এই শেল্টার হোমে বেশ কিছু মানুষজন থাকলেও শহরের একটা বড় অংশের ভবঘুরেরা শেল্টার হোমে আসতে চান না বলে দাবি পৌর কর্তৃপক্ষের। এদিকে শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়লে পাছে এই সমস্ত মানুষেরা বিপাকে পড়তে পারে। তাঁদের প্রানহানি পর্যন্ত হতে পারে। এই আশঙ্কায় এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল জলপাইগুড়ি পৌরসভা।
শনিবার রাতে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার দেব দুলাল পাত্র,কাউন্সিলর নীলম শর্মা সহ পৌরসভার টিম শহরের রাস্তায় ঘুরে ভবঘুরেদের খুঁজে বের করে তাদের হাতে কম্বল তুলে দিলেন। সিদ্ধেশ্বর কর্মকার নামে এক বয়স্ক নাগরিক বললেন ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছিলাম। পৌরসভা কম্বল দিল। খুব উপকার হল।
ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্য়ায় বলছেন উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তার উপর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আগামী ১৬, ১৭ তারিখ এই শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়বে। আমাদের শহরে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন মতো ভবঘুরে রয়েছে। এদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে শেল্টার হোম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কিছু মানুষ রয়েছেন। যাদের অত্যন্ত যত্ন করে রাখা হয়। কিন্তু এই শহরেই অনেক সহায়সম্বলহীন মানুষ রয়েছেন যাঁদের আমরা বহু আবেদন নিবেদন করলেও শেল্টার হোমে যেতে চান না। কিন্তু তাঁদের বাঁচিয়ে রাখা পৌরসভার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা এই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের কম্বল বিতরণ করলাম। আগামী আরও বেশ কিছুদিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানা গিয়েছে।