জলপাইগুড়ি: খোলা বাজারে জ্যোতি আলুর দাম তিরিশ টাকা। পেঁয়াজ চল্লিশ। কোথাও-কোথাও বেয়াল্লিশ। আর নামী শপিংমলে গিয়ে সেই আলু-পেঁয়াজই যেন ‘সোনা’। জ্যোতি আলুর দাম হয়েছে বেয়াল্লিশ। আর পেঁয়াজ বাহান্ন। সেই সব খবর কানে যেতেই মলে পৌঁছলেন মহকুমা শাসক। দাম দেখে কার্যত চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তাঁর।
বস্তুত, বাজারে গিয়ে শাক-সবজি কিনতে কার্যত মধ্যবিত্তের পকেটে লাগছে ছ্যাঁকা। তার মধ্যে আবার আলুর দাম নিয়ে রাজ্যজুড়ে চড়ছে পারদ। আলু কিনতে গিয়ে কার্যত নাকের জল চোখের জল হওয়ার জোগাড় মধ্যবিত্তের। অনেকেই আছেন যাঁরা সময় সুযোগের অভাবে থলে নিয়ে বাজারে যেতে পারেন না। তাঁরা শপিং মল থেকে বাজার করতে অভ্যস্থ। তবে সেখানেও চড়া দামে বিকচ্ছে আলু-পেঁয়াজ। শুধু তাই নয়, লো সুগার পটেটো লিখেও বিক্রি করা হচ্ছে একধরনের আলু। মহকুমা শাসকের দাবি, এই সবটাই ভাঁওতা। এর কোনও সারবত্তা নেই।
এ দিন, অভিযোগ পেয়ে মহকুমাশাসক তমজিৎ চক্রবর্তীকে সরজমিন তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তাঁর নির্দেশে শনিবার দুপুরে ওই শপিং মলে অভিযান তমজিৎবাবু। তিনি মল কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা করতে নির্দেশ দেন। মহকুমা শাসক বলেন, “জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। একটি হল আলু ৪২ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৫২ টাকা কেজি। বাইরে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি তবে এই মল কর্তৃপক্ষ সেটা মানছেন না। এমনকী লো সুগার পোটাটো বলে একটি আলু বিক্রি করা হচ্ছে। যেটা সঠিক নয়। মিসলিড করা হচ্ছে লোকজনকে। জেলা শাসকের নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। মল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ওদের কর্পোরেট লেভেলের কিছু মেশিনারি রয়েছে যার মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা তার লাইসেন্স জমা দিতে বলেছি। আর লো সুগার পটেটোর বিষয়ে ওরা বলেছে নথি দেখাবে। আমরা পেঁয়াজ এবং আলুর স্যাম্পেল নিয়েছি। সুফল বাংলায় আলু বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়। লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”