Potato Price: ‘‘দালালদের হাত শক্ত করছেন’, আলুর দাম বাড়ানোর কথা বলতেই ‘চক্রান্তের’ অভিযোগে কাঠগড়ায় দলেরই কর্মীরা

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 20, 2025 | 5:48 PM

Potato Price: পূর্ণেন্দু বোসের এ মন্তব্যে কার্যত হতাশ আদি তৃণমূল নেতা আতিপুল হক, সোলেমান আলীরা। এরাও একদিকে যেমন তৃণমূল নেতা পাশাপাশি প্রত্যেকেই আলু চাষি। ওনাদের দাবি, আলু চাষে প্রচুর খরচ বেড়েছে। তাই সহায়ক মূল্য বাড়ানো উচিত।

Potato Price: ‘‘দালালদের হাত শক্ত করছেন’, আলুর দাম বাড়ানোর কথা বলতেই ‘চক্রান্তের অভিযোগে কাঠগড়ায় দলেরই কর্মীরা
মাথায় হাত চাষিদের
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: আলু নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। দাম না পেয়ে মাথায় হাত চাষিদের। সরকার নির্ধারিত আলুর সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবিও উঠেছে বারবার। অন্যদিকে আবার সহায়ক মূল্যের কমেও আলু কেনার অভিযোগও রয়েছে। আলুর সহায়ক মূল্য ৯ টাকা নয়। ন্যূনতম ১৩ টাকা করতে হবে। এই দাবি সামনে রেখে আন্দোলন চালাচ্ছে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি। এবার তৃণমূলপন্থী কৃষক সংগঠনের সদস্যরা সেই দাবির সমর্থনে সুর চড়াতেই আসরে নেমে পড়লেন সংগঠনের সভাপতি নিজে। দলেরই সংগঠেনর সদস্য তথা আলু চাষিদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর। 

বুধবার জলপাইগুড়ি তে ছিল তৃণমূল কিষাণ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন। আর এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কিষাণ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বোস। সম্মেলনে জেলার সমস্ত ব্লক থেকে সংগঠনের সদস্যরাও এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার আলু চাষি। ৯ টাকার সহায়ক মূল্য ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের মধ্যে। সাংবাদিকদের তরফে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁরা স্পষ্টতই তাঁদের অসন্তোষের কথায় জানান। সম্মেলনে এসেছিলেন ধনরঞ্জন সরকার, হরেকৃষ্ণ মজুমদার, অমল রায়েরা। এরা প্রত্যেকেই আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত। স্পষ্টই বলেন, কিলো প্রতি ৯ টাকা অত্যন্ত কম। রাজ্যের তরফে এই সহায়ক মূল্য বাড়ালে তাঁদের উপকার হয়। 

যদিও তাঁদের দাবির সঙ্গে এক মত নন কিষাণ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বোস। আলুর সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির কোনও প্রশ্নই আসে না। কারণ, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ৯ টাকা কিলো সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা এই জাতীয় দাবি করছেন তাঁরা কার্যত দালালদের হাত শক্ত করছেন। 

এদিকে পূর্ণেন্দু বোসের এ মন্তব্যে কার্যত হতাশ আদি তৃণমূল নেতা আতিপুল হক, সোলেমান আলীরা। এরাও একদিকে যেমন তৃণমূল নেতা পাশাপাশি প্রত্যেকেই আলু চাষি। ওনাদের দাবি, আলু চাষে প্রচুর খরচ বেড়েছে। বর্তমানে রাসায়নিক সারের দাম আকাশছোঁয়া। এছাড়াও অন্যান্য খরচ বেড়েছে। তাই সহায়ক মূল্য কিলো প্রতি ৯ টাকা অত্যন্ত কম। এই দর বাড়ালে সব চাষিদেরই উপকার হয়। আর কেউ যদি এই দর বৃদ্ধির অনুরোধ করে তাহলে তাঁরা দালালদের সঙ্গে যুক্ত এ কথা ঠিক নয় বলেই তাঁদের মত। 

জেলার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য্য বলেন, “কে কী বলেছে তা নিয়ে আমরা ভাবিত নই। আমাদের দাবি আলুর সহায়ক মূল্য নূন্যতম কেজি প্রতি ১৩ টাকা করতে হবে। নাহলে কৃষকের হাতে টাকা আসবে না।” 

পূর্ণেন্দু বসুর এহেন মন্তব্যে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামল রায় বলেন, “বর্তমানে তৃণমূল সিন্ডিকেট রাসায়নিক সার নিয়ে কালোবাজারি চালাচ্ছে। তাই আলু-সহ অন্যান্য চাষের খরচ প্রচুর। এই অবস্থায় যদি আলুর সহায়ক মূল্য নূন্যতম ১৫ টাকা না করা হয় তবে চাষি ভাইয়েরা ঋনের দায়ে জর্জরিত হবেন। এর আগেও এই রাজ্যে প্রচুর কৃষক ঋণ ডুবে আত্মহত্যা করেছে।”