Malda: মাস্টারমশাইয়ের ভোজবাড়ির জন্যই তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি! অভিযোগ ঘিরে হইচই

Chaos in Malda School: সহকর্মীর বাড়ির ভোজ বলে কথা, নিমন্ত্রণ তো রক্ষা করতে হবে। অতঃপর স্কুলে তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন পড়ুয়াদের অভিভাবক থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রামবাসীরা। ভোজবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেই কি সাত তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হল? কী চলছে মালদার মানিকচকের এই স্কুলে?

Malda: মাস্টারমশাইয়ের ভোজবাড়ির জন্যই তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি! অভিযোগ ঘিরে হইচই
কী বলছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Mar 13, 2024 | 8:56 PM

মালদা: স্কুলের এক শিক্ষকের মেয়ের অন্নপ্রাশন। বাড়িতে বিরাট অনুষ্ঠান। ভোজের আয়োজন। স্কুলের সব মাস্টারমশাই-দিদিমণিদের নিমন্ত্রণ রয়েছে। সহকর্মীর বাড়ির ভোজ বলে কথা, নিমন্ত্রণ তো রক্ষা করতে হবে। অতঃপর স্কুলে তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন পড়ুয়াদের অভিভাবক থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রামবাসীরা। ভোজবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেই কি সাত তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হল? কী চলছে মালদার মানিকচকের এই স্কুলে?

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদিউজজামানের সঙ্গে। তিবি অবশ্য নিজের ঘাড়ে দায় নিতে নারাজ। দায় ঠেলাঠেলিতেই ব্যস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটির সিদ্ধান্ত তিনি নেননি, সহকারী প্রধান শিক্ষকই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছুটির বিষয়ে। প্রধান শিক্ষক বলেন, তিনি অন্যান্য অফিশিয়াল কাজের জন্য স্কুলে দেরিতে ঢুকেছেন। স্কুলে ঢুকে তিনি শোনেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ তিনটি পিরিয়ড হওয়ার পর স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে।

যদিও সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার আবার এই সিদ্ধান্তের দায় নিয়ে অস্বীকার করেছেন। এই বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার বলেন,’আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। প্রধান শিক্ষক কেন আমার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন? স্কুল চলাকালীন সব সিদ্ধান্ত তিনিই নিয়ে থাকেন।’

এদিকে আজ স্থানীয় কিছু মানুষজন স্কুলের আশপাশের চায়ের দোকানে কিছু পড়ুয়াকে গল্প করতে দেখেন। কোনও কোনও পড়ুয়া আবার মাঠে খেলছিল। সেই দেখে এলাকাবাসীরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কথা শোনার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের থেকে তাঁরা কোনও সদুত্তর পাননি বলেই দাবি এলাকাবাসীদের।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল মানিকচক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্চয়িতা মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’