
মালদহ: মালদহে শাসকনেতার ‘দাদাগিরি’! রাজস্থানে কর্মরত সেনা জওয়ানকে মানিকচকের এনায়েতপুরে জমি কিনতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এমনকি ফোন করে দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা আনোয়ার আলির বিরুদ্ধে। ঘরে একা পেয়ে সেনা জওয়ানের দিদিকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার কান টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কর্মরত সেনা জওয়ানকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অডিয়ো এসেছে প্রকাশ্যে। TV9 বাংলার হাতে সেই চাঞ্চল্য়কর ভিডিয়ো। যদিও কন্ঠস্বরের সত্য়তা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
জওয়ানের নির্যাতিতা দিদির অভিযোগ, হঠাৎই সেদিন বাড়িতে চলে আসে। তাঁর কথায়, “আমি বাড়িতে একা ছিলাম। আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে ধরে পেটায়। কান ধরে ছিঁড়ে দিয়েছে। আমার ভাই বলে জমির বায়না আমি দিয়ে দিয়েছি, জমি আমিই নেব। এই নিয়ে ঝামেলা। এখন এসে এনায়েত বলছে, আমার ভাইকেও মার্ডার করবে, আমাকেও মার্ডার করবে।” তৃণমূলের নেতা হিসাবেও হুমকি দিয়েছে। আনোয়ার আলির স্ত্রীও পঞ্চায়েত সদস্য। সেই কারণেই এলাকায় ওর এতো দাদাগিরি বলে অভিযোগ।
থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আনোয়ার এলাকাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “মালদহে জঙ্গলরাজ চলছিল। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের উর্দিধারী পুলিশ। অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু এখনও ব্যবস্থা নেয়নি। মানুষ এখানে ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।”
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। মানিকচকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মহফুজুর রহমান বলেন, “ওনার স্ত্রী পঞ্চায়েতের মেম্বার। যা করার ওনার স্বামী করেছে। পঞ্চায়েত সদস্যাকে ডেকে সবটা ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমন যেন কোনও কাজ না করেন, যাতে দলের সম্ভ্রম নষ্ট নয়, সেটা ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।”