Malda: রাত নেই দিন নেই যখন তখন ‘দুয়ারে কড়া’ নাড়ছে মহানন্দা, দরজা খুললেই…

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 07, 2024 | 1:23 PM

Malda News: ইতিমধ্যেই কারো বাড়ির ভিতর আবার কারো বাড়ির উঠোনে এসে পৌঁছেছে জল। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছেন। তবে এখনই পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদ জায়গায় থাকার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি শুধুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা।

Malda: রাত নেই দিন নেই যখন তখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে মহানন্দা, দরজা খুললেই...
মহানন্দায় বাড়ছে জল
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

মালদহ: যেন কোনও সময় জ্ঞান নেই। যখন তখন চলে আসছে একেবারে ঘরের দোরগোড়ায়। আর তারপরই কড়া নাড়ছে। দরজা খুললেই বিপদ। বলা ভালো গিলে খাবে শেষ সম্বলটুকু। তাই ভয়ে কাঁটা এলাকাবাসী। আসলে বিগত বেশ কয়েকতদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। ভয়াবহ পরিস্থিতি মালদহে। সেখানে কার্যত বাড়ির চৌকাটে এসে পৌঁছেছে মহানন্দার জল। এলাকাবাসীর আশঙ্কা যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে সারি-সারি থাকা কয়েকশো বাড়ি। দুশ্চিন্তা,আতঙ্ক আর প্রাণভয় নিয়েই এখন নদীর পাড়েই দিন কাটাচ্ছেন পুতুল হরিজন, দীপিকা মণ্ডলরা।

উল্লেখ্য, পাহাড়ে টানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। মালদহতেও কয়েক দিনের বৃষ্টি জেরে মহানন্দার জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা ইংলিশ বাজার পৌরসভার ৮, ৯,১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। মহানন্দা নদীর চরে বসবাসকারী কয়েকশো বাড়ি সম্পুর্ণই ডুবে যেতে পারে।

ইতিমধ্যেই কারো বাড়ির ভিতর আবার কারো বাড়ির উঠোনে এসে পৌঁছেছে জল। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছেন। তবে এখনই পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদ জায়গায় থাকার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি শুধুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা। আবার অনেকের অভিযোগ, প্রতিবছরই বর্ষা এলে তাদের ডুবতে হয়। নদীর তীরবর্তী যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলি রয়েছে তার অবস্থা খুবই খারাপ। বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় ত্রিপল প্রয়োজন, নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়াও দরকার। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে তেমনটা কিছুই করা হয়নি। সরব হয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার বিরোধী দল নেতা অম্লান ভাদুড়ী। অন্যদিকে, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “যা যা করি প্রতি বছর এবছরও করব। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিয়েছেন ফ্ল্যাড সেন্টারের জন্য। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে সেখানেই বানভাসীদের রাখা হবে।”

Next Article