মালদহ: ক্রমশই অবনতি হচ্ছে মালদায় বন্যা পরিস্থিতি। গঙ্গা, ফুলহার এবং মহানন্দা তিন নদীই ফুঁসছে। মালদহের মানিকচক, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। অন্যদিকে প্লাবিত মহানন্দা নদীর জলে মালদহ শহরের বিভিন্ন এলাকা।
ইংরেজবাজার পুরসভার অন্তত সাতটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জলের তলায়। একতলা বাড়ি ডুবে গেছে। ঘরের আসবাব থেকে বিভিন্ন সামগ্রী ভেসে গিয়েছে। মালদহ শহরের হাজার হাজার মানুষ জলের মধ্যেই বাস করছেন। অভিযোগ তাঁদের থাকার ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা করা হয় নি। ত্রাণ দূর অস্ত। খোলা মাঠে যে থাকবে তারও উপায় নেই।
পুজোর বড় বড় প্যান্ডেল তাই মাঠে বসতেও মানা। সেখানে আশ্রয় নিতে গিয়ে পুজো কমিটি আর পুলিশের তাড়া খেয়ে ফের জলে ডোবা ঘরেই ফিরে আসতে হয়েছে। তবে দুর্গতদের কথায়, এখনও বিছানায় বালিশের নীচে বিষাক্ত সাপ। পোকা মাকড়। ঘরে কোমড় জল। রান্না নেই, খাওয়া নেই। তবে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের আশ্বাস উদ্ধারের ব্যবস্থা হচ্ছে।
নেপালের জলে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “দক্ষিণবঙ্গ ডিভিসি-র জলে যেমন ভেসেছে, উত্তরবঙ্গে নেপাল থেকে কোশী নদীর জল ছেড়েছে। ৫ লক্ষ কিউসেক টন। ওই জল বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকছে।” তিনি বলেন,”একদিকে সঙ্কোচ নদীর জলে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বিধ্বস্ত, অন্যদিকে, নেপালের জলে বিহার হয়ে ঢুকছে, ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।”
এদিন, মালদহের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন তিনি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একটা পরিকল্পনা করে কিছু প্রয়াস করছেন, যাতে জলটা না আসে। এখন দুর্গতদের ত্রাণের বিষয়টির ওপরেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।”