Drinking in the Hospital: হাসপাতালেই মদের আসর, R G Kar-এর পরেও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ভয়াবহ চিত্র তুলছে চিকিৎসকদের বিপন্নতা

Mahadeb Kundu | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 18, 2024 | 3:01 PM

Drinking in the Hospital: নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ও পিটি বিভাগের সামনের PWD-র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ঘর। অভিযোগ, সেই ঘরের ভেতরে চলছিল মদ্যপান। সেই মদ্যপানের আসরে থাকতে দেখা যায় টেকনিক্যাল কর্মীদের। সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির আগমন ঘটেছে।

Drinking in the Hospital: হাসপাতালেই মদের আসর, R G Kar-এর পরেও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ভয়াবহ চিত্র তুলছে চিকিৎসকদের বিপন্নতা
হাসপাতালের মধ্যেই চলছে মদ্যপান
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নদিয়া:  তিলোত্তমার বিচারের মধ্যে সবথেকে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা।  যে দাবিতে এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুপ্রিম কোর্টেও যে বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই পরিস্থিতি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিত্র আবারও সেই প্রশ্নকেই।  কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ক্যাম্পাসের ভেতরে চলছেই মদ্য়পান। বসেছে ইলেকট্রিক দফতরের কর্মীদের মদের আসর। TV9 বাংলার ক্যামেরায় উঠে আসে সেই ছবি। হাতেনাতে ধরতেই হুমকি দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। অভিযোগ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ও পিটি বিভাগের সামনের PWD-র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ঘর। অভিযোগ, সেই ঘরের ভেতরে চলছিল মদ্যপান। সেই মদ্যপানের আসরে থাকতে দেখা যায় টেকনিক্যাল কর্মীদের। সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির আগমন ঘটেছে।

দরজার ফাঁক দিয়ে ভিতরের ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলেন সংবাদমাধ্য়মের কর্মী। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাই কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় কোতয়ালি থানার পুলিশ। হাসপাতালের ইলেকট্রিক্যাল কর্মী-সহ দুইজনকে আটক করে নিয়ে যায়। ধৃতদের আজ কৃষ্ণনগর আদালতে পেশ করে পুলিশ।

হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক জয়ন্ত সরকার বলেন, “আমাদের হাসপাতালের মধ্যে PWD-এর একটা ইলেক্ট্রিক্যাল অফিস রয়েছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে কিছু লোক ঢুকেছে, পুলিশ দিয়েছে। যে বা যারা থাকুক, পুলিশ যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। আমাদের কোনও স্টাফ ছিল বলে আমার কাছে খবর নেই।”

আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়রকে। ঘটনার পর তদন্তে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের পিছনেই ছিল ওই সিভিক ভলান্টিয়রের মদের ঠেক। সেখানে বসে নাকি মদ্যপান করেছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে যেখানে এত আন্দোলন, তার মধ্যেও এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।

Next Article