নদিয়া: নববর্ষের রাত্রিবেলা নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঠান্ডা পানীয় মাদক মিশিয়ে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে নাবালিকার অবস্থা বর্তমান সঙ্কটজনক বলে পরিবার সূত্রে খবর। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার তিনজন।
নদিয়ার তেহট্টের ঘটনা। রবিবার রাত্রিবেলা অর্থাৎ নববর্ষের দিন ১৪ বছরের নাবালিকা বাড়িতে ছিল। বাড়ির পাশে মেলা হচ্ছিল। পরিবারের লোকজন গিয়েছিল মেলা দেখতে। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফিরে দেখেন নাবালিকা ঘরে নেই। এরপর মেলায় যান খুঁজতে। পরের বার যখন তাঁরা বাড়ি ফেরেন। সেই সময় দেখেন তাঁদের মেয়ে ঘরের ভিতরেই রয়েছে। তবে অচৈতন্য অবস্থায়। সঙ্গে তিন কিশোর। এরপরই নাবালিকার কাকিমার নজরে আসে গোটা বিষয়টি। তিনিই পরিবারের বাকি সদস্যদের খবর দেন। নির্যাতিতার বাবা-কাকিমা ঘরে এসে অভিযুক্তদের আটকে রাখেন বলে খবর। অভিযোগ, এরপরই অভিযুক্তর পরিবারের লোকজন এসে মেয়েটির বাবা ও কাকিমাকে বেধড়ক মারধর করে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়।
এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা বলেন, “আমার মেয়ে কোল্ডড্রিঙ্ক খেতে ভালবাসে। মনে হয় ওর সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। তারপরই অজ্ঞান হয়ে যায় আমার মেয়ে। তখন ওরা গণধর্ষণ করে। আমরা চাইছি ওদের শাস্তি হোক। মেয়ে ভাল নেই।” বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই রাজ্য সারা দেশের মধ্যে নারী নির্যাতনে এক নম্বর। আর যারা করেছে তারা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীই হবে। রাজ্যের পুলিশের উপর কারোর কোনও ভয় নেই। আমরা চাই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হোক।” তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের কোনও ঘটনাই সমর্থন যোগ্য নয়। কে অভিযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষ। তবে কেন্দ্রের রিপোর্ট বলেছে নারী সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গই শ্রেষ্ঠ।”