নদিয়া: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি ফুঁসছে গোটা দেশ। ফুঁসছে বাংলা। সেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পড়ুয়ারা মৌন মিছিল করায় স্কুলে পড়ল ‘হুমকি’ পোস্টার। তাতেই শোরগোল নদিয়ার মাজদিয়ায়। প্রসঙ্গত, শনিবার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া রেলবাজার ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। স্কুল প্রাঙ্গনেই ডাক দেওয়া হয় সেই মিছিলের। তারপর কেটেছে বেশ কিছুটা সময়। কিন্তু, এদিন স্কুল শিক্ষকেরা স্কুলে ঢুকতে দেখেন, একাধিক জায়গায় দেওয়া হয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা, ‘প্রতিবাদের আর এক নাম মৃত্যু’। স্কুলের মূল গেটের পাশেও দেওয়া হয়েছে সেই পোস্টার। যে দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবক থেকে এলাকার বাসিন্দারা। ভয়ও পাচ্ছেন কেউ কেউ। স্কুলেও ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
রীতিমতো রাগের সঙ্গেই স্কুলের এক ছাত্রীকে বলতে শোনা গেল, “আমরা প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরছি না। যতদিন না বিচার পাওয়া যাচ্ছে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। এই সব পোস্টার, গুজব দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। আমরা কোনও কিছুতেই ভয় পাই না।” এক সুর স্কুলের বাকি পড়ুয়াদের মধ্যেও। পাশে দাঁড়িয়ে আর এক ছাত্রীকে বলতে শোনা গেল, “ওই ম্যামের সঙ্গে যা হয়েছে কে বলতে পারে ওটা আমাদের সঙ্গে কাল হবে না। তাই আমরাও বিচার চাই। আমাদের প্রতিবাদ চলবে। ভয় আমরা পাচ্ছি না।”
একই সুর অভিভাবকদের গলাতেও। চন্দ্রানী লাহিড়ী বলছেন, “প্রতিবাদ তো হবেই। গোটা দেশে প্রতিবাদ চলছে। সবাইকে সচেতন করতে গেলে রাস্তায় তো নামতেই হবে। স্কুল আমাদের সঙ্গে আছে। শিক্ষকেরা আমাদের সঙ্গে আছে। পোস্টারটা দেখেছি। প্রতিবাদ করলে হয়তো কারও অসুবিধা হচ্ছে। তাই এই পোস্টার দিয়েছেন।” এরপরই সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, “আগে তো লক্ষ্মীদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তারপর তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ। তারপর তো অর্থের প্রসঙ্গ।”