Khardha: ‘এটা ইউরোপ নাকি? ওই মহিলার তো আগেও…’, ৩ সন্তানের মাকে রাতে বাড়ি পৌঁছে দেন, তাতেই এই যুবককে ‘ছেঁকে ধরেন খড়দহের ক্লাবের ছেলেরা’! কারণ ভয়ঙ্কর

Ananta Chattopadhyay | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 16, 2025 | 4:53 PM

Khardha: আক্রান্ত আজগর আলি এলাকার প্রখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়। খড়দহের বন্দিপুর দোপেড়ের বাসিন্দা তিনি। জানা যাচ্ছে, তিন বছর ধরে এলাকারই এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি তাঁরা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন।

Khardha: এটা ইউরোপ নাকি? ওই মহিলার তো আগেও..., ৩ সন্তানের মাকে রাতে বাড়ি পৌঁছে দেন, তাতেই এই যুবককে ছেঁকে ধরেন খড়দহের ক্লাবের ছেলেরা! কারণ ভয়ঙ্কর
আক্রান্ত যুবক যুবতী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

খড়দহ: প্রেম করতে গেলে এলাকার অনুমতি নিতে হবে, শুধু প্রেমই নয়, বিয়ে করতে গেলেও লাগবে অনুমতি। কিন্তু সেই অনুমতি না নেওয়ায় এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ এলাকার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহের দোপেড়িয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই তৃণমুল নেতার ছেলে অভিযুক্ত আস্ফাক পুরকাইত ওরফে অন্তুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  আক্রান্ত আজগর আলি এলাকার প্রখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়। খড়দহের বন্দিপুর দোপেড়ের বাসিন্দা তিনি। জানা যাচ্ছে, তিন বছর ধরে এলাকারই এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি তাঁরা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন। আগামি ইদের দু’দিন পরেই তাঁদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। সব কেনা কাটাও সারা হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই আজগরের ওপর হামলা চলে বলে অভিযোগ।  এই মারধরের ঘটনায় আতঙ্কিত হবু দম্পতি এবং তাঁদের পরিবার।

কিন্তু সমস্যা কোথায়?

তৃণমূলের দাবি, ওই মহিলার আগে তিনটে বিয়ে হয়েছে। তাঁর তিনটে সন্তানও রয়েছে। এই সম্পর্ক, প্রকাশ্যে তাঁদের আচরণ নিয়ে আগেও এলাকার মানুষের বক্তব্য ছিল। তাই গ্রামে সালিশিও বসেছিল।

আক্রান্ত যুবক বলেন, “আমি আমার প্রেমিকাকে বাড়িতে ছেড়ে আসছিলাম। তখন হঠাৎ করেই ওরা আমাকে বলল, আমার ওয়ার্ডে কেন আসছিস, আমি বললাম কীসের অসুবিধা? তখন বলছে, তোরা বিয়ে করিসনি, এভাবে এখানে কেন আসছিস? আসা যাবে না। তারপরই ৩০-৪০ জন মিলে আমাকে ঘিরে ধরে মারল।”

প্রেমিকা বলেন, “আমরা দু’জন একে অপরকে ভালবাসি, বিয়ে করব, এটা একেবারেই আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত। আমাদের বাড়িতে মেনে নিয়েছে। দু’জনে মিলে দোকান করছি। ইদের পরেই আমাদের বিয়ে।” কিন্তু বাধা কেন? তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পাত্রীর বয়স পাত্রের থেকে বেশি। তাছাড়া পাত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল। তার তিন সন্তানও রয়েছে। এই ধরনের সম্পর্কে এলাকার যুব সমাজকে প্রভাবিত করবে।

তবে এই ঘটনার পর থেকেই উধাও অভিযুক্ত আস্ফাক। অভিযুক্তদের পুলিশ এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তাতেই আতঙ্কিত পরিবার। এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি শুকুর আলির বক্তব্য, “এটা ইউরোপ নাকি? প্রেমিকা ওর থেকে অনেক বড়ো,৩ ছেলে মেয়ের মা! এখানে ইউরোপ হতে দেবে না এলাকার বাসিন্দারা। মহিলার ক’ নম্বর বিয়ে আমি জানি না। আফগানিস্তানের একটা ছেলে ওর স্বামী। তাঁর তিনটে মেয়ে রয়েছে। এখানে বিচার পঞ্চায়েত হয়েছে। এখন মেয়েটি-ছেলেটি ভাবছে এটা ইউরোপ। সাবালক-সাবালিকা থাকবে, এটায় কারোর আপত্তি নেই। কিন্তু রাস্তাঘাটে ওপেন যেভাবে অন্ধকার, ঝোপঝাড় দেখলে যা করছে, তাতে এলাকার লোক খুবই বিতশ্রদ্ধ।”

বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, “কে কী খাবে, কে কী করবে, সেটা ওরাই ঠিক করছে। রাজ্যে তো মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। সেখানে ওদের নেতারা এই ধরনের আচরণ করবে, সেটাই স্বাভাবিক। এখানে বাড়ি করলে পয়সা দিতে হয়, বিয়ে করলেও পয়সা দিতে হয়।”