
বারাসত: দিনদুপুরে অভিনব কায়দায় বৃদ্ধার সোনার গয়না চুরি। ‘পুজোর সময় সোনার হার পরে বেরিয়েছেন কেন? ছিনতাই হয়ে যেতে পারে। খুলে রাখুন।’ এই বলে বৃদ্ধার গলার চেন খুলে কাগজে মুড়ে তাঁকে দিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু, বাড়ি ফিরে বৃদ্ধা দেখলেন, তাঁর সোনায় গয়না ওই কাগজের মধ্যে নেই। এভাবেই দিনদুপুরে সোনার গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। ওই ব্যক্তি নিজেকে থানার বড়বাবু বলে পরিচয় দিয়েছিলেন বলে বৃদ্ধার বক্তব্য। তাঁর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রায় ৩৬ গ্রাম সোনার গয়না ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ।
বারাসতে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বছর আটাত্তরের ওই বৃদ্ধার। গতকাল পাড়ার মুদি দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেইসময়ই এক যুবক তাঁর পথ আটকান। বৃদ্ধা বলেন, “ওই ব্যক্তি বলেন, আমি থানার বড়বাবু। আপনি পুজোর সময় সোনার চেন পরে বাইরে বেরিয়েছেন কেন? যেকোনও সময় ছিনতাই হতে পারে। খুলে রাখুন। সেইসময়ই পাশ দিয়ে আর এক যুবক যাচ্ছিলেন। তাঁকেও আটকান ওই ব্যক্তি। তাঁর গলার চেন খুলে কাগজে মুড়ে তাঁর পকেটে পুরে দেন।”
এরপর বৃদ্ধার সোনার চেন ও সোনার বালা খুলে একটি কাগজে মুড়ে তাঁর ব্যাগে দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। বৃদ্ধা বাড়িতে এসে কাগজ খুলেই চমকে ওঠেন। কাগজের মধ্যে তিনটে পাথর ও ইমিটেশনের বালা রয়েছে। ওই দুই ব্যক্তি যে তাঁর সোনার গয়না ছিনতাই করে পালিয়েছেন, তা বুঝতে পারেন বৃদ্ধা। বারাসত থানায় ওই বৃদ্ধার ছেলে কেপমারির অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দিনদুপুরে পাড়ায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে কেপমারির ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।