Sandeshkhali: কলাবাগান দিয়ে দৌঁড় করানো হল CRPF-কে, আর ED আধিকারিকরা তখনও…মারমুখী জনতার রোষ থেকে শেষমেশ তদন্তকারীদের ত্রাতা হলেন কে?

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 05, 2024 | 12:24 PM

Sandeshkhali: এই পরিস্থিতিতে দৌড় শুরু করেন ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সামনেই বাসন্তী হাইওয়ে, মালঞ্চ। হাইওয়ের ওপর দিয়ে তখন ঝড়ের গতিতে যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি। আর পিছনেই  একটা গোটা গ্রামের হাজার হাজার মানুষের রোষ। আধিকারিকরা রীতিমতো হাইওয়ের ওপর দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে গাড়ি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন

Sandeshkhali: কলাবাগান দিয়ে দৌঁড় করানো হল CRPF-কে, আর ED আধিকারিকরা তখনও...মারমুখী জনতার রোষ থেকে শেষমেশ তদন্তকারীদের ত্রাতা হলেন কে?
ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ফেলেছেন গ্রামবাসীরা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সন্দেশখালি: এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়তো প্রথম। বাংলার রেশন দুর্নীতির তদন্তে এসেছিলেন অবাঙালি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁরাও অবাঙালি। কিন্তু সন্দেশখালির একটা  প্রত্যন্ত গ্রাম সরবেরিয়ায় গিয়ে যেভাবে মৃত্যুমুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের, তা ভাবতেও পারছেন না ইডি আধিকারিকরা। শেখ শাহজাহানের বাড়ি সরবেরিয়ায় যেন পাতা ছিল মৃত্যুফাঁদ।

সকালে শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। বাড়ির  তালা ভাঙার চেষ্টা করছিলেন। তখনই শুনতে পান রে রে করে কারা যেন তেড়ে আসছেন। পিছন ফিরতেই অতর্কিতে হামলা। ইট উড়ে এসে পড়ে মাথার পিছন। গলগল করে বেরোতে থাকে রক্ত। সঙ্গে ইডি আধিকারিকদের মারা হচ্ছে চড়, কিল, লাথি, ঘুষি। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। হাতে তাঁদের বন্দুক, কিন্তু উত্তেজিত জনতার বন্দুকের বাঁটের মার খেতে হয় তাঁদেরকেও।

এই পরিস্থিতিতে দৌড় শুরু করেন ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সামনেই বাসন্তী হাইওয়ে, মালঞ্চ। হাইওয়ের ওপর দিয়ে তখন ঝড়ের গতিতে যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি। আর পিছনেই  একটা গোটা গ্রামের হাজার হাজার মানুষের রোষ। আধিকারিকরা রীতিমতো হাইওয়ের ওপর দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে গাড়ি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন।  রক্তমাথা শরীরে তাঁরা কাউকে সেভাবে নিজেদের পরিচয় প্রথমে দিতে পারেননি। তাঁদের দেখে দাঁড়ান কয়েকজন অটো চালক, টোটো চালক। রাস্তার ওপর দিয়ে যাওয়া কারোর ব্যক্তিগত গাড়িতেও হাত দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে লিফট নিয়েছেন ইডি আধিকারিক ও জওয়ানরা।

কোনওভাবে এলাকা ছাড়েন ইডি আধিকারিকরা। লঞ্চে করেও অনেকে প্রাণে বাঁচেন। সিআরপিএফ জওয়ানরা বলছেন, আড়াই কিলোমিটার কেবল দৌঁড়েছেন তাঁরা। কখনও কলাবাগান, কখনও আদিবাসী পাড়ার ভিতর দিয়ে। স্থানীয় একটি পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তারপর ফাঁড়ি থেকেই একটি বাইক করে দেওয়া হয়। গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

সন্দেশখালির সরবেরিয়ার দাপুটে  নেতা সন্দেশখালির অনুগামীদের চেহারা আজ দেখল গোটা বাংলা, তা প্রশ্ন তুলে দিল একাধিক বিষয়ে।

Next Article