
আসানসোল: রেল শহর চিত্তরঞ্জনে রেলকর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার। মৃত রেলকর্মীর নাম প্রদীপ চৌধুরী। রবিবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বেশ কিছুদিন আগে বাসন্তী পুজোর দিন এই প্রদীপ চৌধুরীর স্ত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রদীপবাবুকে চিত্তরঞ্জন পুলিশ বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। রবিবার রাতে প্রদীপবাবুর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হল চিত্তরঞ্জন শহরের নর্থ এলাকার ৬৪ নম্বর রাস্তার ২৫বি কোয়ার্টার্স থেকে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কোয়ার্টার্সে প্রদীপবাবু ও তাঁর পুত্র দেবদিত্য থাকতেন। রবিবার দুপুরের পর দেবদিত্য বাইরে বেরিয়েছিলেন এবং রাত আটটা নাগাদ ফিরে দেখেন কোয়ার্টার্সের দরজা বন্ধ। বহুক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি। তখন তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখেন ভেতরের ঘরের বিছানায় প্রদীপবাবুর গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে আছে। তিনি নিজেই নিজেকে গুলি করলেন নাকি অন্য কোনও ঘটনা এর পিছনে আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন রাতে প্রদীপবাবুর ঘরের সামনে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুপুর থেকে সন্ধের মধ্যে তাঁরা কোনও গুলির শব্দ পেয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে কিছু বলতে পারছেন না কেউ। বাইরে থেকে কাউকে ওই রেলকর্মীর ঘরে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল কি না, তা নিয়েও কেউ কিছু বলতে পারছেন না। প্রদীপবাবু আত্মহত্যা করলে পিস্তলটি কোথায়, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতের ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি কাউকে সন্দেহ করছেন কি না, তা জানতে চাইছে পুলিশ।