Hospital: হাসপাতালের ছাদে চলছে মজলিস, অপেক্ষায় রোগী, প্রশ্ন করতেই মুখ ঢাকলেন স্বাস্থ্য কর্মী

Hospital: জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিনতলার ছাদে তখন চলছে ভুরিভোজের আয়োজন। ক্যাটারিংয়ের কর্মীরা ব্যস্ত রান্নার কাজে। বেলা দেড়'টার পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়ার পর্ব । রীতিমত কব্জি ডুবিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারেন গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা বলে দাবি পরিবারের সদস্যরা। অনেকের টেবিলে সাজানো বেগুনি, ভাত,মিক্সড ভেজ,মুগ ডাল,মাছ,মটন কারি, চাটনি,পাপড়,মিষ্টি ।

Hospital: হাসপাতালের ছাদে চলছে মজলিস, অপেক্ষায় রোগী, প্রশ্ন করতেই মুখ ঢাকলেন স্বাস্থ্য কর্মী
হাসপাতালে পিকনিকে ব্যস্ত স্বাস্থ্য কর্মীরাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 01, 2024 | 5:45 PM

দুর্গাপুর: কেউ এক ঘণ্টা, কেউ আধ ঘণ্টা! দাঁড়িয়ে রয়েছেন আউটডোরের লাইনে। অপর দিকে ইন্ডোরে ভর্তি প্রসূতি। কিন্তু কোথায় চিকিৎসক-নার্স? স্বাস্থ্য কর্মীরা নাকি ব্যস্ত রয়েছেন পিকনিকে। এমনই অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনরা। ঘটনাস্থল খান্দরা গ্রামীণ হাসপাতাল।

সোমবার ১ জানুয়ারি ইংরেজি নতুন বর্ষবরণের দিন। প্রতিবছরই এই দিনটিতে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন পিকনিকে। চলে হই-হুল্লোড়। কিন্তু আর পাঁচটা পেশার মতো সব পেশায় ছুটি থাকে না। চালু থাকে জরুরি পরিষেবা। কিন্তু বর্ষবরণের দিন অন্ডাল ব্লকের খান্দরায় গ্রামীণ হাসপাতালে দেখা গেল অন্য ছবি ।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোরে ভর্তি রয়েছে প্রসূতি, আউটডোরে চিকিৎসকের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোগীরা। অথচ পরিষেবায় গরহাজির চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা। আউটডোরে বেশ কিছু রোগী দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন বাড়ি। অভিযোগ উঠল, চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা নাকি ব্যস্ত রয়েছেন পিকনিকে। রোগীর পরিজন ভোলানাথ বোস বলেন, “আমরা চল্লিশ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। ডাক্তারবাবু নেই। ভিতরে ফিস্টি চলছে।”

জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিনতলার ছাদে তখন চলছে ভূরিভোজের আয়োজন। ক্যাটারিংয়ের কর্মীরা ব্যস্ত রান্নার কাজে। বেলা দেড়’টার পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। টেবিলে সাজানো বেগুনি, ভাত, মিক্সড ভেজ, মুগ ডাল, মাছ, মটন কারি, চাটনি,পাপড়, মিষ্টি। কবজি ডুবিয়ে খেলেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।

চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৩০ জনের জন্য এই আয়োজন ছিল বলে সূত্রের খবর। খাওয়ার পর্বের মাঝপথে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উপস্থিতি দেখে কেউ কেউ খাওয়া ছেড়ে কার্যত উঠে যান। কেউ কেউ অনুরোধ করলেন ছবি না তোলার জন্য।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এরকম আচরণের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা ত্রিদীপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, রাজ্যে মেলা-খেলার সরকার চলছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । পরিষেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকদের পিকনিকের ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণ হল বলে জানান তিনি । অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার শেখ ইউনুস খান বলেন, “হাসপাতালের ভিতরে পিকনিক না হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। পরবর্তীতে এটা যেন না হয় তা দেখব। তবে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে শুনিনি।”