Raiganj: মহিলাকে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় সিভিক ভলান্টিয়রের পরিবার

Rupak Ghosh | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 20, 2024 | 3:42 PM

Raiganj: এরপর মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের পরিবার তাঁদের উপর চড়াও হয়। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এ দিকে রায়গঞ্জ থানায় এনিয়ে ফের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বুধবার সকালে ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে তাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।

Raiganj: মহিলাকে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় সিভিক ভলান্টিয়রের পরিবার
রায়গঞ্জে হেনস্থা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

রায়গঞ্জ: আরও একবার মহিলার উপর অমানবিক নির্যাতনের সাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুর। জমি বিবাদে এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, হাত ও কোমড়ে দড়ি দিয়ে বারান্দায় বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়রের পরিবারের বিরুদ্ধে। বস্তুত, গত জুন মাসে এই জেলায় এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ফের সেখানে উঠল এই অভিযোগ।

উত্তর দিনাজপুরের রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। অভিযোগ, ওই এলাকারই বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়রের সঙ্গে তাঁদেরই প্রতিবেশী অর্থাৎ নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। জমি কেনাবেচায় আর্থিক লেনদেন নিয়ে এই বিবাদ ছিল বলে খবর। পাশাপাশি, এলাকার একটি পুকুর নিয়েও এই বিবাদ ওঠে চরমে। এরপর পুলিশে অভিযোগ জানালে বিষয়টি নিয়ে থানায় উভয় পক্ষকে ডেকে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয় বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।  কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ার গা ঢাকা দেয়। তার পরিবার গ্রাম্য শালিশির কথা বলে থানায় যেতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ।

এরপর মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের পরিবার তাঁদের উপর চড়াও হয়। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এ দিকে রায়গঞ্জ থানায় এনিয়ে ফের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বুধবার সকালে ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে তাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। টেনে হিঁচড়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাত, কোমড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূর পরিবার। শুধু এদিনই নয়, ইতিপূর্বেও ওই গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিবার।

ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ পৌঁছে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির দাবি, বিষয়টি তাঁদের জানা। প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এটাই আশা রাখছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ননি গোপাল বর্মণ বলেন, “আমি জানতাম ওদের মধ্যে গন্ডগোল হচ্ছে। গিয়ে দেখি মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমি পুলিশে খবর দিই।” অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের বাবা বলেন, “মিথ্যা কেস দিচ্ছে। আজ বাড়িতে চলে এসেছে। তখন আমার বাড়ির বৌ-রা চলে ওকে ধরে রেখেছে।”

Next Article