নয়া দিল্লি: বিস্কুটের প্রয়োজন প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রয়েছে। চা-এর ডুবিয়ে বিস্কুট খেতে কে না পছন্দ করে। বাজারে বিস্কুট সংস্থারও অভাব নেই। মিষ্টি থেকে নোনতা- সব স্বাদের বিস্কুট রয়েছে। তবে এই পণ্যের চাহিদা এতটাই বেশি যে, এই ব্যবসা শুরু করে খুব একটা ক্ষতির মুখ দেখবেন না। অনেক বেশি পরিমানে বিস্কুট তৈরি করার জন্য মেশিনের প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগ একটু বেশি করতে হয়। তবে বিনিয়োগ বেশি করা হলে, লাভের অঙ্কও বাড়বে।
সামগ্রী বলতে যেগুলো মূলত প্রয়োজন হয়, সেগুলি হল- গমের আটা, চিনি ও তেল। গমের আটার বদলে ময়দার বিস্কুট বানাতে চাইলে ময়দা লাগবে। চিনি মূলত পাউডার সুগার হতে হবে। যে কোনও জায়গা থেকে পেয়ে যাবেন এই গুঁড়ো করা চিনি। লাগবে ডালডা ঘি অথবা বনস্পতি তেল। এছাড়া লাগতে পারে গুঁড়ো দুধ, নুন, বেকিং পাউডার ইত্যাদি।
বেশ কয়েকটি মেশিন প্রয়োজন হয় বিস্কুট তৈরি করতে গেলে। প্রথমে মিক্সারের সাহায্যে সব উপাদানগুলো মিশিয়ে নিতে হবে। যত বেশি উপাদান, তত বড় মিক্সার কিনতে হবে। এরপর লাগবে ড্রপিং মেশিন। এই মেশিন ব্যবহার করে বিভিন্ন আকার দেওয়া যাবে বিস্কুটে। বেকিং ওভেন মেশিনে বেক করতে হবে বিস্কুটগুলি। প্যাকেজিং করতেও এখন মেশিন ব্যবহার করা হয়। এই মেশিনগুলি অনলাইনেও কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণ ৫ টাকার বিস্কুটের প্যাকেটের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। তাই সঠিকভাবে বিক্রি করতে পারলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রতি মাসে উপার্জন করাই যায়।