‘খোকাবাবু’, ‘কলের বউ’, ‘খড়কুটো’র মতো ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৃণা সাহা। কখনও তিনি তরী, তখনও টেপি কিংবা তমশা, আবার কখনও গুনগুন। জনপ্রিয় এই নায়িকা কিন্তু লেখাপড়াতেও দারুণ ভাল। রেকর্ড নম্বর পেয়েছিলেন স্কুল-কলেজে। ‘আরশিনগর’ ছবিতে অর্পণা সেনের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন ক্যামেরার নেপথ্যে। সেই সময় এক্কেবারে অন্যরকম দেখতে ছিলেন তৃণা। ওজনও ছিল তাঁর অনেকটাই বেশি। অভিনয় করার সুযোগ পাওয়া মাত্রই রোগা হতে শুরু করেছিলেন। এবং সেই সঙ্গেই বেড়েছিল তাঁর ত্বকের জেল্লাও। কিন্তু অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা থাকেই। দিনের অনেকটা সময় তাঁদের মেকআপ লাগিয়ে চড়া আলোয় কাজ করতে হয়। ফলে ত্বকের বারোটা বেজে তেরোটা হতে পারে। যত্নও নিতে হয় খুবই। তৃণাকে নিতে হয় সেই বাড়তি যত্ন। জানেন কি তৃণার সৌন্দর্যের রহস্য? অভিনেত্রী সিক্রেট শেয়ার করেছেন একমাত্র TV9 বাংলার সঙ্গেই…
তৃণার সঙ্গে কথা বলতে-বলতে TV9 বাংলার প্রতিবেদক জানতে পেরেছেন তিনি আইব্রো এবং আপার লিপ করেন না। তাঁকে প্রত্যেক ১৫দিন অন্তর পার্লারে ছুটতে হয় না। সুতোর সাহায্যে তুলতে হয় না ভ্রু কিংবা ঠোঁটের উপরের বাড়তি লোম। তিনি ওয়্যাক্সিংও করেন না। তৃণা বলেছেন, “ঈশ্বরের কৃপায় আমার শরীরে লোম কম। তাই বারবার রেজ়ার কিংবা ওয়্যাক্স করাতে হয় না। আমাকে আইব্রো কিংবা আপার লিপের লোমও তুলতে হয় না। আমি টুইজ়ার নিয়ে তুলে নিই। আজ থেকে ২ বছর আগে করাতাম এসব। কিন্তু এখন সবই ন্যাচরাল রাখি।”
দিনে ১০-১২ ঘণ্টা মেকআপ করার পর কীভাবে নিজের ত্বককে ভাল রাখতে হয় সেই টিপসও দিয়েছেন তৃণা। তিনি জানিয়েছেন, মেপআপ লাগালে সেটা তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে মেপআপ লাগানো অবস্থায় ঘুমনোকে ‘পাপ’ হিসেবে গণ্য করেন তৃণা। বলেছেন, “যত রাতই হোক না কেন, আমি ওষুধ দিয়ে মেকআপ তুলি। আমাকে একটা মেডিকেটেড রিমুভার ব্যবহার করতে দিয়েছেন ডাক্তার। সবই আমাকে ডাক্তার দিয়েছেন। বেশি কিছু মাখিও না ত্বকে। টোনার এবং সেরাম ব্য়বহার করি মুখে। ভিটামিন সি ক্রিম লাগাই। ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগাই। এটা আমার নাইট রুটিন।”
আরও একটা বিষয়ে দারুণ জোর দিয়েছেন তৃণা। তা হল জল। নিয়ম করে ৩ লিটার জল না খেলে ত্বক খারাপ হতে পারে, সেটা বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী। হাতেনাতে ফলও পেয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান বলেই শরীর ভাল থাকে তাঁর। ত্বকও চকচক করে। সবই খান তিনি। কিন্তু অতিরিক্ত কিছুই খান না। বলেছেন, “আমি কিন্তু সব কিছু খাওয়া বর্জন করে জীবন কাটাতে ভালবাসি না। খেতে ভালবাসি এবং সব খাই। দিনে ৩ লিটার জল মাস্ট আমার জন্য। মন ভাল রাখি। আত্মাকে কষ্ট দিয়ে ডায়েটিং করি না। চকোলেট খেতে ইচ্ছা করলে একটু ভেঙে খেয়েই নিই।”