এই একটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেই সেলেব্রিটিরা উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হোন, তা ভাবাই যায় না। ঐশ্বর্য রাই থেকে শুরু করে আলিয়া ভাট, প্রতিটি সেলেব্রিটিই সানস্ক্রিনের উপর এক প্রকার নির্ভরশীল করে থাকেন। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই বলি সুন্দরী দীপিকা পাড়ুকোনও।
একবার এক ম্যাগাজিনে বিউটি টিপস নিয়ে আলোচনার সময় তিনি কিছু বিষয় শেয়ার করেছেন। কিছুটা নস্টালজিয়ায়, আবার কিছুটা ঘরোয়া। ত্বকের যত্নের জন্য রোজকার নিয়মে গুরুত্বপূর্ণ কোনটি, যে জিনিসটি কখনওই তিনি মিস করেন না, এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে তাঁর অকপট উত্তর, সানস্ক্রিন।
সাক্ষাত্কারে দীপিকা জানিয়েছিলেন, ”স্টুডিয়ো বা আউটডোর শ্যুট, যেখানেই হোক না কেন, সানস্ক্রিন আমার স্কিনকেয়ার রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কখনও কখনও আমরা যদি আউটডোর শ্যুটিং করি, অনেকসময় সেই জায়গায় বেশি পরিমাণ ধুলো-ময়লা থাকে, শ্যুটিংয়ের অর্ধেক পথেই আমরা পুকো মেকআপ তুলে ফেলি। পুরো স্কিনকেয়ার করে ফের মেকআপ করি। রুটিন মেনে ত্বক পরিস্কার করুন ও পরে আবার মেকআপ করুন। তাই এসপিএফ -যুক্ত সানস্ক্রিন পুনরায় প্রয়োগ করা হয়। তা সে আলোর সামনেই হোক বা সামনে হোক। একটি এসপিএফ ব্যবহার করা হল একটি স্কিনকেয়ার রুটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
সানস্ক্রিন ব্যবহারের উপকারিতা
– এটি আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে – রোদে পোড়া এবং ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায় – সূর্যের রশ্মি থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় – অকাল বার্ধক্য থেকে মুক্তি করে – স্কিন টোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে – পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক উপায়
– ত্বক পরিস্কার করার পরে, প্রথমে সিরাম ব্যবহার করুন। তারপর এসেন্স, আইক্রিম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তারপর লাগান সানস্ক্রিন। তিন আঙ্গুলের পরিমাণ সানস্ক্রিন নিয়ে গাড়ে, মুখে, কানে ও কানের পিছনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ভালভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশে গেলে তারপর মেকআপ শুরু করুন।
– শুরুতে কোনও পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন না। তবে এক-দুই সপ্তাহ পর আপনার ত্বকের টেক্সচার উন্নতি লক্ষ্য করতে পারবেন।