প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়, থামল ‘আমি বাংলায় গান গাই’

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন আচমকা তাঁর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার খবর মেলে, পরে স্নায়ু ও নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞরা তাঁকে পরীক্ষাও করেছিলেন।

প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়, থামল আমি বাংলায় গান গাই

| Edited By: আকাশ মিশ্র

Feb 15, 2025 | 2:14 PM

প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। শনিবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর মতো স্রষ্ঠা। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়েই খোঁজ নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্য়ায় নিজেই যান এসএসকেএম হাসপাতালে। রেকটামে ক্যান্সার নিয়ে ১৬ জানুয়ারি ভর্তি হন। ৫ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণের শিকার হন। ফুসফুসেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে

শিল্পীর দেহ, শনিবার দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত শায়িত থাকবে রবীন্দ্রসদনে। তারপর এস‌এসকেএমে দেহ আনা হবে চোখ এবং দেহদানের জন্য।

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন আচমকা তাঁর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার খবর মেলে, পরে স্নায়ু ও নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞরা তাঁকে পরীক্ষাও করেছিলেন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গেয়ে শোনান প্রবীণ গায়ক। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দেখা যায়, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে গায়কের। তড়িঘড়ি কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। সেখানেই ধরা পড়ে, ফুসফুসেও প্রবল সংক্রমণ রয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হল না। না ফেরার দেশে শিল্পী গণসঙ্গীতের কণ্ঠ।

বাংলার কিংবদন্তি এই শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম হয়। তাঁর অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। আর ২০১১ মুক্তি পায় তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যালবাম আমি বাংলায় গান গাই।